
ছবি: সংগৃহীত
জার্মানি তাদের সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সাইবার গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। সম্প্রতি যুদ্ধের সময় ইরানি সাইবার হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেখেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিনড।
রোববার জার্মান পত্রিকা বিল্ড-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘সাইবার ডোম’ নামে একটি বহুমাত্রিক সাইবার প্রতিরক্ষা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে জার্মানি। এটি ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেমের আদলে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি কৌশলগত ব্যবস্থা হবে।
পাঁচ দফা পরিকল্পনার খসড়া
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডোব্রিনডের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় পাঁচটি মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—
- জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি (BND) এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা।
- একটি জার্মানি-ইসরায়েল যৌথ সাইবার গবেষণা কেন্দ্র গঠন।
- সাইবার প্রতিরক্ষা কৌশলে দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সমন্বয়।
- ড্রোন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।
- বেসামরিক আশ্রয় ও সতর্কতা ব্যবস্থাকে ইসরায়েলি প্রযুক্তির মতো করে উন্নত করা।
কী এই ‘সাইবার ডোম’?
‘সাইবার ডোম’ হলো ইসরায়েলের প্রযুক্তিনির্ভর কৌশলগত প্রতিরক্ষা ধারণা, যা ডেটা বিশ্লেষণ ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সাইবার হুমকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে সক্ষম। ২০২৪ সালে ইসরায়েলি সাইবার পরিচালক এভিরাম আটজাবা জানিয়েছিলেন, এটি ঠিক ‘আয়রন ডোম’-এর মতোই, তবে সাইবার জগতের জন্য।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ডোমের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য এক কেন্দ্রীয় ডেটাপুলে সংগ্রহ করা হয়, যা জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ করে দেয়।’
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডোব্রিনড শনিবার ইসরায়েল সফরে যান এবং রোববার বাট ইয়াম শহরের সেই এলাকায় যান যেখানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৩ জন শিশু ছিল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব