
ছবি: জনকণ্ঠ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পৌরসভা কার্যালয়ে পানি ঢুকে ভিজে পচে যাওয়া, বিতরণ অনুপযোগী ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল মাটি চাপা দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে ৭ মেট্রিক টন পচা চাল গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। পচা চালের দুর্গন্ধে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বড়লেখা পৌরসভার অনুকূলে প্রায় ৩১ মেট্রিক টন (১০২৭ বস্তা) ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। ২৯ মে খাদ্য গোদাম থেকে চাল উত্তোলন করে পৌরসভা হলরুমে রাখা হয়। ২ জুন থেকে বিতরণের প্রস্তুতি নিলেও ৩১ মে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পৌরসভা কার্যালয়ের ভেতর ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে যায়। এতে অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল ভিজে নষ্ট হওয়ায় বিতরণ অনুপযোগী হয়ে ওঠে। চালগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। অবশেষে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রোববার বিকেলে পৌরসভার গরুর হাটের পরিত্যক্ত স্থানে চালগুলো মাটি চাপা দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. জামাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবজিৎ চন্দ্র দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফখরুল আমিন খান, হিসাবরক্ষক আব্দুল লতিফ, কর নির্ধারক তোফায়েল আহমদ, ব্যবসায়ী শামীম আহমদ প্রমুখ।
বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, “ভিজিএফের বিতরণ অনুপযোগী চালগুলো পৌরসভা কার্যালয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. জামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ২৩৪ বস্তা চাল মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।”
শহীদ