
ছবি: সংগৃহীত
অসুস্থতা অনেক সময় নীরবে শরীরে বাসা বাঁধে। কিডনির সমস্যাও ঠিক তেমনই—প্রথম দিকে বিশেষ কোনো উপসর্গ থাকে না, আর তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না কখন শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ শুরুতেই চিনে নিতে পারলে কিডনি বাঁচানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ৩টি লক্ষণেই বোঝা সম্ভব যে কিডনির ওপর ভয়াবহ চাপ পড়ছে। জেনে নিন এখনই, আর সময় থাকতে চিকিৎসা নিন।
১. ঘন ঘন প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে
কিডনি সুস্থ থাকলে প্রস্রাবের পরিমাণ ও সময় নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকে। কিন্তু হঠাৎ যদি দিনে বা রাতে প্রস্রাবের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তাহলে সেটা হতে পারে কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত। বিশেষ করে রাতে বারবার টয়লেটে যেতে হলে বিষয়টি অবহেলা করা ঠিক নয়।
২. শরীরে অস্বাভাবিক ফোলাভাব
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। ফলে চোখ, মুখ, হাত-পা বা পায়ের গোড়ালিতে হঠাৎ করে ফুলে ওঠে। অনেকেই একে ওজন বাড়া মনে করেন, কিন্তু এটি হতে পারে কিডনি ব্যর্থতার প্রাথমিক সতর্ক সংকেত।
৩. ক্লান্তিভাব ও মনোযোগে ঘাটতি
কিডনি ঠিকমতো ফিল্টার না করতে পারলে রক্তে বর্জ্য জমে যায়। এতে শরীরে দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা ও মনোযোগে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। দিনে ঠিকমতো কাজ করতে না পারা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি কিডনির সমস্যারই ইঙ্গিত হতে পারে।
করণীয়:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কিন্তু অতিরিক্ত নয়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, বিশেষ করে যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে।
প্রস্রাবে ফেনা, রঙের পরিবর্তন বা দুর্গন্ধ লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোনো লক্ষণ অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে তার বিকল্প হলো ডায়ালাইসিস বা প্রতিস্থাপন—যা জীবনযাপনকে জটিল করে তোলে।
ফারুক