
ছবি: সংগৃহীত।
একটি শিশু জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারে আনন্দ ও শান্তির আবহ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই খুশির মুহূর্তে অনেক সময় আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ভুলে যাই, যা সদ্যজাত শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
তিনি বলেন, “একটা শিশু মাতৃগর্ভে সংক্রামক মুক্ত পরিবেশে বড় হয়। কিন্তু পৃথিবীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে সে চারপাশের অসংখ্য জীবাণুর মুখোমুখি হয়। এ সময় অসতর্কতাবশত জীবাণুর সংক্রমণ হলে তা শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে—এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়। ভবিষ্যতে নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।”
ডা. মোল্লা পরামর্শ দেন, শিশুর জন্মের পরপরই পরিবারের সবাইকে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, “সবার আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। যত কম সংখ্যক মানুষ শিশুকে স্পর্শ করবে, তত ভালো। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শিশুকে তার মায়ের কোলেই রাখতে হবে এবং জন্মের পরপরই তাকে শালদুধ খাওয়াতে হবে, যা জীবনের প্রথম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।”
তিনি আরও বলেন, “এই তিনটি বিষয়—পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিশুকে কম স্পর্শ করা এবং মায়ের শালদুধ নিশ্চিত করা—মেনে চললে নবজাতকের সুরক্ষায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।”
শিশুর জন্মের পর পর্যবেক্ষণের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন ডা. মোল্লা। তিনি বলেন, “এরপর আমরা পর্যবেক্ষণ করবো শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক আছে কিনা, সে কষ্ট পাচ্ছে কি না, বমি করছে কি না বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না। এই সাধারণ নজরদারিই যথেষ্ট প্রথম দিনের জন্য।”
নবজাতকের যত্নে এই প্রাথমিক সতর্কতাগুলো মেনে চললে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
মিরাজ খান