
আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি শুধু হাড়কে মজবুতই করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মেজাজ ভালো রাখতে এবং পেশিশক্তি ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে প্রশ্ন হলো—এই ভিটামিনটি কীভাবে পাব? সহজ উত্তর—সূর্যই হলো ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস!
রোদে থাকার সঠিক সময়
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে কয়েকবার, দিনে ৫ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকাল ১০:৩০ থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে। তবে এই সময় সূর্যের তেজ বেশি হওয়ায় সাবধান থাকতে হবে, যাতে ত্বক না পুড়ে যায়।
ত্বকের রঙের ভূমিকা
গায়ের রংও ভিটামিন ডি তৈরিতে প্রভাব ফেলে। হালকা ত্বকে কম সময়েই ভিটামিন ডি তৈরি হয়, কিন্তু গাঢ় ত্বকের মানুষের জন্য বেশি সময় রোদে থাকা দরকার।
আপনি কোথায় থাকেন?
উত্তরাঞ্চলে, যেমন—বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম বা পাহাড়ি অঞ্চলে, শীতকালে সূর্যের তেজ কম থাকে। সেক্ষেত্রে রোদে সময় বেশি কাটাতে হতে পারে।
বয়সের সঙ্গে ঘাটতি বাড়ে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভিটামিন ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য রোদে থাকার পাশাপাশি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণও দরকার হতে পারে।
সানস্ক্রিন কি বাধা দেয়?
সানস্ক্রিন ভিটামিন ডি উৎপাদনে কিছুটা বাধা দিলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে এতে শরীর কিছু পরিমাণ UV রশ্মি শোষণ করতে পারে। তাই ত্বক সুরক্ষা বজায় রেখে স্বল্প সময় রোদে থাকাই উত্তম।
খাবার ও সাপ্লিমেন্ট
ভিটামিন ডি পাওয়া যায় কিছু খাবারে—যেমন: ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, মাশরুম ও পরিপূরক খাবারে। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
সতর্ক থাকুন
ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা শরীরে জমা হয়। অতিরিক্ত গ্রহণে কিডনি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই নিজের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা জানতে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই উত্তম।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। তাই প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য রোদে দাঁড়িয়ে নিন প্রকৃতির এই উপহার। তবে সবসময় মনে রাখুন—সঠিক পরিমাণেই সুস্থতা।
Mily