
ছবি: সংগৃহীত
ধনে পাতা ভারতের রান্নাঘরের অপরিহার্য একটি উপাদান। এর ঘ্রাণ ও স্বাদ খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। বাজার থেকে আনা ধনে অনেক সময়েই কয়েক দিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় বা পচে যায়। তাই যদি আপনি চান, তাহলে বাড়িতেই সহজ উপায়ে এটি চাষ করতে পারেন। এটি কেবল সতেজ এবং অর্গানিক হবে না, বারবার বাজার যাওয়ারও দরকার পড়বে না।
পাত্র কেমন হবে? ধনে গাছ লাগানোর জন্য এমন একটি পাত্র বেছে নিন, যার গভীরতা অন্তত ছয় থেকে আট ইঞ্চি হয়। পাত্র যত চওড়া হবে, ধনের পরিমাণ তত বেশি উৎপন্ন হবে। যদি গামলা না থাকে, তাহলে পুরোনো বালতি, ট্রে বা অন্য কোনো পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। শুধু নিচে জল বেরোনোর জন্য ফুটো থাকতে হবে।
সঠিক মাটি তৈরি করুন: ধনে গাছ ভালোভাবে বাড়াতে হলে মাটি ঝরঝরে ও পুষ্টিকর হওয়া জরুরি। বাগানের সাধারণ মাটির সঙ্গে দু’টি জিনিস অবশ্যই মেশাতে হবে। প্রথমটি হলো গোবর সার বা ভার্মি কম্পোস্ট, যা গাছের পুষ্টির জন্য উপযোগী। দ্বিতীয়টি হলো বালি বা কোকোপিট, যা মাটিকে হালকা করে এবং অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
বীজ প্রস্তুত করুন: বাজারে যে ধনে পাওয়া যায়, সেগুলিকে হালকাভাবে ভেঙে নিন যাতে বাইরের খোলস ফেটে যায় এবং বীজ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এতে অঙ্কুরোদ্গম সহজ ও দ্রুত হয়। বীজগুলো এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে খোলস নরম হয় ও অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে।
বীজ বপন ও পানি দিন: পরের দিন সকালে সেই ভেজানো বীজ মাটির উপর ছড়িয়ে দিন এবং হালকা মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। স্প্রে বোতল দিয়ে পানি ছিটিয়ে দিন যাতে মাটি আর্দ্র হয়, কিন্তু পানি জমে না। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা করে পানি দিন।
আলো ও যত্নে রাখুন: গামলাটি এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে হালকা রোদ আসে। তীব্র রোদ বা অতিরিক্ত গরম থেকে গাছটিকে বাঁচান। ছয়-সাত দিনের মধ্যে অঙ্কুর গজাতে শুরু করবে এবং প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনি ধনে পাতা ব্যবহার করতে পারবেন।
ধৈর্য ও নিয়মিত পরিচর্যা: একসাথে পুরো গাছটি তুলবেন না, শুধু উপরের পাতাগুলি কেটে ব্যবহার করুন । যাতে গাছটি আরও বাড়তে পারে। ধনে গাছ বাড়িতে চাষ করা খুব সহজ এবং তাজা খাবারের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়। একটু ধৈর্য, নিয়মিত পানি এবং সঠিক মাটি ব্যবহার করলেই আপনি বছরের যে কোনো সময়ে নিজের রান্নাঘরে তাজা ধনে ব্যবহার করতে পারবেন।
শহীদ