
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে অংশ নেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে এই আলোচনায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
আলোচনায় মার্কো রুবিও ও ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন।“
তিনি আরও জানান, “দুই নেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।”
গত ২৮ জুন ড. ইউনূসের এক সহযোগী বলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে “সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ” নির্বাচন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গত মাসে ঘোষণা দেন যে, আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে একটি উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূসের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার এখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা রোহিঙ্গা সংকট, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের চলমান শুল্ক আলোচনার অগ্রগতি, দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি ড. ইউনূসের নেতৃত্বকে বাংলাদেশের জন্য এই সংকটময় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যা দেন এবং বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।”
এছাড়াও, ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে অংশ নেন। তারা পারস্পরিক শুল্ক কাঠামো নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র: নিউজ ১৮
এম.কে.