
ছবি: জনকণ্ঠ
পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার তিন দিনের মাথায় যুগ্ম আহ্বায়ক মো. অলিউল ইসলাম মিলন এবং সদস্য মো. আরিফুল হক-এর পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় সকল পর্যায়ের দায়িত্বও স্থগিত করা হয়েছে।
মো. অলিউল ইসলাম মিলন নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের মো. আব্দুর রব ডালিম এর ছেলে। অপর সদস্য মো. আরিফুল হক পিরোজপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া-র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. অলিউল ইসলাম মিলন বলেন, “আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলে সক্রিয় ছিলাম এবং কলেজ ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জেলা যুবদলের দায়িত্ব পেয়েছিলাম। কিন্তু একদল লোক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি তা মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে অচিরেই এই ষড়যন্ত্রের অবসান হবে।”
পিরোজপুর জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান তুষার বলেন, “কমিটি গঠনের পরপরই তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ পাই। কেন্দ্রীয় নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনো দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না।”
জানা গেছে, গত ২৬ জুন, আহ্বায়কসহ ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ পিরোজপুর জেলা যুবদল কমিটি গঠিত হয়। সেখানে মো. অলিউল ইসলাম মিলন-কে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল। এরপর ২৯ জুন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
শহীদ