
.
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস রবিবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও শেষ চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। সেইসঙ্গে ৩২ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটে।
টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বড় মূলধনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকের পতনের মাত্রা কমে আসে। এমনকি একপর্যায়ে সূচক পজিটিভও হয়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের লেনদেনে সূচক ঋণাত্মক হয়েই লেনদেন শেষ হয়।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টির। আর ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১৮টির দাম কমেছে এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪২টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্যানেল