ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

অর্থনীতি বিভাগের সব খবর

এফবিসিসিআইর সঙ্গে বিশ্বব্যাংক মিশনের বৈঠক

এফবিসিসিআইর সঙ্গে বিশ্বব্যাংক মিশনের বৈঠক

দেশীয় শিল্প ও বাণিজ্যের টেকসই উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত সব সেবা একই ছাতার নিচে আনার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিমআই। মঙ্গলবার গুলশানে এফবিসিসিআই এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট ট্র্যাকিং টুলস মিশনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সময় বেশকিছু করণীয় তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন স্পেশালিস্ট মেলভিন স্প্রেইজ, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কনসালটেন্ট থেরেসা মরিসে এবং সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট ও টাস্ক টিম লিডার নুসরাত নাহিদ বেবি, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল হক, সংস্থার মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কে. এম. ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশেনের জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ফারুক আহম্মেদ, বারভিডার জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, মেঘনা গ্রুপের এফএফসিজি বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার (এক্সপোর্ট) মিথুন কুমার গায়েন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য সহজীকরণ করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন বিশ্ব ব্যাংক মিশনের সদস্যরা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোতে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের মতামতকে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। দেশে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় হ্রাস এবং উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন, অবকাঠামো, লজিস্টিকস এবং ল্যাব সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ী নেতারা এবং তাদের প্রতিনিধিরা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট ট্র্যাকিং টুলস হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা সদস্য দেশগুলোকে টিএফএর অধীনে তাদের বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ করে এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়তা করে। দেশগুলো যাতে নিজ নিজ বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং টিএফএর সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে পারে, সে বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক তাদের সাহায্য করে।

চারমাসে ইউরোপে ৮০৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি

চারমাসে ইউরোপে ৮০৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি

চলতি বছরের প্রথম চারমাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উনত্রিশটি দেশে ৮০৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশের পোশাকের ডিজাইন ও মানে আর বৈচিত্র্যতা আনতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের সঠিক বা প্রকৃত মূল্য নিরূপণ হওয়া  জরুরি। উদ্যোক্তারা পোশাকের ন্যায্যদাম পেলে আরও ভালোমানের পোশাক তৈরি ও রপ্তানি করতে পারবেন।  তথ্যমতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে চীন। তবে এবারে পোশাক রপ্তানিতে দেশটির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি চীনের চেয়ে মাত্র ৩২ কোটি ডলার কম হয়েছে। ইইউর পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (ইউরোস্ট্যাট) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম চার মাস জানুয়ারি-এপ্রিলে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোম্পানিগুলো। এ আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।

ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে ৮.০৭ বিলিয়ন ডলার

ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে ৮.০৭ বিলিয়ন ডলার

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ৮.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৬.৫১ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২৩.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.৭১ শতাংশ এবং একক মূল্য বেড়েছে ৩.৫৭ শতাংশ। যা রপ্তানি আয়, পরিমাণ ও দামের একটি ভারসাম্যপূর্ণ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈশ্বিক পোশাক আমদানিতে ১৪.২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২.৪৯ বিলিয়ন ডলার। পরিমাণের দিক থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৮৪ শতাংশ, তবে গড় ইউনিট মূল্য ১.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ইইউতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ইইউতে চীনের রপ্তানি ২১.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৩৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইউনিট মূল্য ৭.৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তুরস্কের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দেশটির ইইউতে রপ্তানি ৫.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩.১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের রপ্তানি ১৫.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ইউনিট মূল্য ৫.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে ২.০১ বিলিয়ন, ১.৪২ বিলিয়ন ও ১.৫৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। যার প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২০.৫৮ শতাংশ, ২৩.৪২ শতাংশ ও ৩১.৭৮ শতাংশ। শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইইউ বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিট মূল্যে বাড়তি আয় একটি ইতিবাচক দিক হলেও চীন এখনো এগিয়ে এবং ভিয়েতনামও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইইউ বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে হলে আসন্ন ইইউ নিয়মনীতি অনুসরণ করে কৌশল গ্রহণ করা এবং উৎপাদন সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে নতুন বাজার অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে, যাতে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অতিনির্ভরতা কমে আসে এবং বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছতে পারে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে পানি, জ্বালানি, পরিবহন ও স্বাস্থ্যখাতসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে এক বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিল এআইআইবি

বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিল এআইআইবি

বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। ক্লাইমেট রেসিলেন্স ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির আওতায় এ ঋণ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ও এআইআইবির মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ ও এআইআইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রজত মিশ্রা চুক্তিতে সই করেন। এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের পরিবর্তন রোধে মজবুত ভিত্তি তৈরি। জলবায়ু নীতিমালা সংস্কারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিযোজন এবং প্রশমনমূলক কার্যক্রমকে আরও অগ্রসর করা। যা টেকসই, সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করে। গৃহীত এ ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার এককালীন ০.২৫ শতাংশ।

এনবিআরে ২৮ জুন থেকে কমপ্লিট শাটডাউন

এনবিআরে ২৮ জুন থেকে কমপ্লিট শাটডাউন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৪ দাবিতে আগামী ২৮ জুন থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও সভাপতি নীরিক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মূল্য সংযোজন করের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাছান মুহম্মদ তারেক উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সোমবার সকালে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঐক্য পরিষদ। পরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছাকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করে সামগ্রিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেয়ারম্যান এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তাদের পূর্বঘোষিত ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করার উদ্যোগ ভেস্তে দিচ্ছেন।

বড় পতনের পর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার

বড় পতনের পর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার

একদিনের ব্যবধানেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সোমবার (২৩ জুন) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও মূল্যসূচক বেড়েছে। আগের দিন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার পর আতঙ্কে রবিবার (২২ জুন) দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়। লেনদেন শুরু হতেই আতঙ্কে বিক্রির চাপ বাড়ান বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। ফলে দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়। সাড়ে তিনশ’র বেশি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৬ পয়েন্ট কমে যায়। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা আরও বড় হয়। ফলে বড় পতনের পরদিনই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির। আর ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে ২৭৬ কোটি ৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৭১ কোটি ৭০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১ লাখ টাকার।

নগরায়ণের ফলে কমছে কৃষি জমি ও বনাঞ্চল ॥ বিবিএস

নগরায়ণের ফলে কমছে কৃষি জমি ও বনাঞ্চল ॥ বিবিএস

ক্রমাগত নগরায়ণের ফলে দেশের বনাঞ্চল ও কৃষিজমি ক্রমাগত কমছে। ২০১৫ সালের তুলনায় বর্তমানে দেশে কৃষি জমি ও বনাঞ্চলের পরিমাণ কমেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিপরীতে অবকাঠামো নির্মাণে ভূমির ব্যবহার বেড়েছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।  বিবিএসের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্পের এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ সালে কৃষিজমি ও বনভূমির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৪ হাজার ৩৮৬ বর্গ কিলোমিটার এবং ১৮ হাজার ৪৯৯ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু ২০২৩ সালে এই ভূমি হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে প্রায় ১ হাজার ৪৭১ বর্গ কিলোমিটার এবং ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ দেশের মোট কৃষি ও বনভূমি ২০১৫ সালে যেখানে ছিল ৫০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে কৃষি ও বনভূমি আছে ৪৯ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।