ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্র দিবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয়: জুলাই ঐক্য

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৮, ১ জুলাই ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্র দিবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয়: জুলাই ঐক্য

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

জুলাই ঘোষণাপত্র এবং সনদ সরকারকে দিতে হবে। কোনো দল বা ব্যক্তি এখন আর জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে 'মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস' কর্মসূচি শেষে এ মন্তব্য করেন তারা।

জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, ১১ মাসেও আমরা জুলাই সনদ পাইনি। কোনো একক দল জুলাই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার নাই। এই সরকারকেই জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র দিতে হবে। সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে উচিত হবে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। তা নাহলে জুলাইয়ের ছাত্রজনতা আদায় করে নিবে। কোনো ব্যক্তিরা দল যদি জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে চায় তাহলে ছাত্রজনতা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। 

জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি। অবিলম্ব জুলাই সনদ ও ঘোষণা পত্র দিতে হবে। জুলাই যোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে৷ জুলাই ঘোষণা পত্র না হলে ৫০ বছর পর জুলাইয়ের এই আন্দোলনকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা দেওয়া হবে। তাই সরকারকে বলব অবিলম্বে কালক্ষেপণ না করে জুলাই ঘোষণাপত্র দিন। 

জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, ১১ মাসে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দুই জন ছাত্র উপদেষ্টা তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ও গণমাধ্যমে কোনো সংস্কার হয়নি। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারের কোনো জায়গায় সংস্কার হয়নি। আজ এনাআরবি থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রেখেছে ফ্যাসিবাদের দোসররা। ৩২ সাংবাদিকের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছে। অথচ সরকার সে সকল কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হয় তাদের বিচার করুন অথবা তাদের দায়মুক্তি দিন। অন্যথায় ছাত্রজনতাকে নিয়ে প্রতিটি সেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করা হবে।

কর্মসূচি শেষে নতুন বাংলাদেশের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ঐবনে মোহাম্মদ।

 কর্মসূচি: 

০১। ১ জুলাই- সকাল ১০.৪৫মি: ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, গণহত্যাকারি ভারতীয় প্রক্সি হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে 'মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস' (প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগে পদযাত্রা)

০২। জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণকরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক প্রেশার গ্রুপের জুলাই ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে ০২-০৯ জুলাই দেশব্যাপী অনলাইন ও সরাসরি গণসংযোগ। 

০৩। ১০ জুলাই - সকাল ০৯.০০- দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতিনিধি সম্মেলন।

০৪। ১১-৩৬ জুলাই শহিদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। 

০৫। ১৫ জুলাই -রাত ৭০.৩০ মিনিট। প্রতীকী কফিন মিছিল। (ঝিগাতলা পিলখানা গেইট- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার)

০৬।  ১৬ জুলাই - শহীদদের স্মরণে সারাদেশে দোয়া ও কবর জিয়ারত। 

০৭। ১৭ - ৩২ জুলাই (১ আগস্ট) দেশব্যাপী জুলাইয়ের শপথ। 

০৮। ৩৩ জুলাই (২ আগস্ট) দুপুর ০২.৩০ মিনিট। জুলাইয়ের গণশপথ (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে)। 

০৯। ৩৪ জুলাই (৩ আগস্ট) জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রকাশ। 

১০। ৩৫ জুলাই (৪ অগস্ট) জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। 

১১। ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ দিবস উদযাপন।

মিরাজ খান

×