
হালদা নদীর পাড়ে তামাক চাষ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তামাক চাষের কারণে মাটি, পানি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোবারকখীল হ্যাচারী প্রাঙ্গণে হালদা নদী পরিদর্শন এবং অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, তামাক মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ফসল। এ ধরনের ফসল উৎপাদন করার যৌক্তিকতা নেই। তিনি তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায় উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, হালদা নদী দেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। এটি এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র যেখানে কার্প জাতীয় মাছ প্রাকৃতিকভাবে ডিম ছাড়ে। এই নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হলে জাতীয় মৎস্যসম্পদ হুমকির মুখে পড়বে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সংকট উত্তরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাবে। তিনি আরো বলেন, হ্যাচারির সংখ্যা বাড়ানো হলে পোনা উৎপাদন বাড়বে, যা দেশের মৎস্যসম্পদে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ, চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন, যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক ড. মোঃ মনজুরুল কিবরিয়া, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ম. নাসিম হায়দার, চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ সুপার এএফএম নিজাম উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় ডিম সংগ্রহকারী, মৎস্যজীবী, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে উপদেষ্টা হালদা নদীতে হ্যাচারিতে উৎপাদিত রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং সভা শেষে নদী রক্ষায় প্রযুক্তির অংশ হিসেবে ড্রোন ক্যামেরার উদ্বোধন করেন।
আফরোজা