ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সদস্য বাছাই কেন্দ্র থেকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি ৫

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:২৬, ১ জুলাই ২০২৫

সদস্য বাছাই কেন্দ্র থেকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি ৫

ছবিঃ সংগৃহীত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সদস্য নবায়ন ও যাচাই-বাছাইকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—স্থানীয় ধানীসাফা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মো. সজিব হাওলাদার, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী মো. ছগির হোসেন (৪৫), সাবেক পৌর ছাত্রদল নেতা ইসতিহাক আহম্মেদ মিশাত, গুলিসাখালী ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী মো. সোহাগ তালুকদার (৪০) এবং টিকিকাটা ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী মো. ইউসুফ খান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সদস্য নবায়ন ও যাচাই-বাছাই চলছিল। এ সময় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পূর্বে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সদস্য ফর্ম পূরণ করানোর অভিযোগ ওঠে বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলাল ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। তালিকায় অনিয়মের প্রতিবাদ জানালে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা রুহুল আমিন দুলালের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান ছোট্টোর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে মিশাত মিশুর তর্ক-বিতর্ক হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর রুহুল আমিন দুলালকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারের পরও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির ও দুলালের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান ছোট্টো পুরো উপজেলায় প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।

উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপুকে নিয়েও দলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তিনি মঠবাড়িয়ায় এলে হুমায়ুনের বাড়িতে উঠেন এবং দুলাল-হুমায়ুনের পক্ষেই কাজ করেন। তার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কিছু সদস্য ফরম নিয়ে মতবিরোধের জেরে বিবাদ হয় এবং একপর্যায়ে তা মারামারিতে গড়ায়। আমি দেখি, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মৃধার ভাগ্নে মিশাতকে উপস্থিত জনতা মারছে। আমি গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনি। আমি হস্তক্ষেপ না করলে তিনি মারাও যেতে পারতেন। বিষয়টি দলীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।

মারিয়া

×