
ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন সংকট ও আন্দোলনের মধ্যেও কন্টেইনার পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দরের মাধ্যমে পরিবহন হয়েছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার একক (টিইইউ) কন্টেইনার, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই অর্জনকে সঠিক পরিকল্পনা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল বলে মন্তব্য করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বছরের শুরুতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন, শেষে কাস্টমস হাউসের শাটডাউন, কর্মবিরতি, পরিবহন ধর্মঘট—এইসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ২৪ ঘণ্টা সচল থাকা বন্দরের কার্যক্রমই এই সাফল্য সম্ভব করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, “চট্টগ্রাম বন্দর ২৪/৭ খোলা থাকে। কখনোই ডেলিভারি বা অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকে না। টাস্কফোর্স গঠন করে, গ্যাপ বিশ্লেষণ করে এবং স্পেস ম্যানেজমেন্টে আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম—এটাই এই রেকর্ডের পেছনের মূল কারণ।”
আগের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পরিবহিত হয়েছিল প্রায় ৩২.৫ লাখ কন্টেইনার—যা এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিবহিত হয় ৩১ লাখ ৬৮ হাজার কন্টেইনার। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার—অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ৪.৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
এই কন্টেইনার পরিবহনের বেশিরভাগ অংশ হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর কন্টেইনার ডিপো, ও পানগাঁও নৌ টার্মিনালের মাধ্যমে।
বিশ্বব্যাপী সমুদ্রবন্দরগুলোর তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান বর্তমানে ৬৭তম।
দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি এই বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।চলতি অর্থবছরেও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়, যা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বৈচিত্র্যকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা এই রেকর্ডকে দেখছেন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনের ইতিবাচক ফল হিসেবে। তাঁদের মতে,“যথাযথ প্রস্তুতি, সমন্বয় এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।”
ছামিয়া