
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে, শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের পাশে খোলা জায়গায় নিয়মিতভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে এলাকায় দূষিত দুর্গন্ধে পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চন্দনাইশ পৌরসভায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় বর্জ্য ফেলার জায়গা হিসেবে খাঁনহাট বাজার, বাগিচাহাট, চন্দনাইশ সদর ও শাহ আমিন পার্কের পাশে নির্দ্বিধায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগী ও পথচারীদের নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, দ্রুত এই ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া হোক।
জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা গত চার দশকে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন স্থান ও নদীতে ময়লা ফেলার প্রচলন রয়েছে। কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও বড়ুয়া পাড়া সড়কের মাথায় ময়লা ফেলা হচ্ছে, যা এখন স্থায়ী ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এতে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন ও কয়েক হাজার পথচারীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একইসাথে হাসপাতালের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রোগী ও স্বজনরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বায়ুবাহিত রোগ বিস্তার করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতাল ও সড়কের পাশে ময়লার স্তুপে দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। গাড়ির যাত্রীরাও জানালা ও দরজা বন্ধ রাখছেন। স্থানীয় ওয়াহিদুল আলম বলেন, "এই জায়গায় ময়লা রাখায় আমাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে।"
এ বিষয়ে চন্দনাইশ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেন, "জায়গা না থাকায় আপাতত সড়কের পাশে ময়লা রাখা হচ্ছে। দুর্গন্ধ রোধে ওই ময়লায় ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে।" তিনি আরও জানান, উপযুক্ত জায়গা পেলেই আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশ্মি চাকমা বলেন, "ময়লার দুর্গন্ধে বায়ুবাহিত রোগ ও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। মাছি বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ প্রবেশ করতে পারে।" স্থানীয়রা ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মশা নিধন ও পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শহীদ