
ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মকালীন অনেক ফল ও সবজি ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং আঁশে সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ কমাতে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। “সম্ভব হলে স্থানীয় ফলমূল বেছে নিন।
সেগুলো সাধারণত বেশি তাজা, পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং মৌসুমে তুলনামূলক সস্তা হয়,” শেরি গ্রে, এমপিএইচ, আরডি, কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষক, ভেরিওয়েলকে ইমেইলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণ পাওয়া যায়, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সর্বাধিক সুবিধা দেয়। গ্রে বলেন, “যদি নিয়মিত ফল বা সবজি খাওয়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে দিনে এক বা দুইটি দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।”
১️: টমেটো: টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফলেট, যা হোমোসিস্টেইন কমাতে সাহায্য করে। যা হৃদরোগের একটি ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন ধরনের টমেটো যেমন প্লাম, হেরলুম, গ্রিন, চেরি এবং বিফস্টেক খাবারে পুষ্টি ও রঙ যোগ করে। গ্রে বলেন, “আমি টমেটো রান্না করে পাস্তার সাথে খাই, সঙ্গে কিছু আরুগুলা, অলিভ অয়েল ও পারমেজান চিজ দেই।”
২: ব্লুবেরি: ব্লুবেরি অ্যান্থোসায়ানিনে সমৃদ্ধ, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে কোলেস্টেরল কমে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৩️: পীচ: পীচে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, আঁশ এবং বিটা-ক্যারোটিন, যা রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৪️: এপ্রিকট: এপ্রিকটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন এ, বি, সি এবং পেকটিন, যা রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
৫️: তরমুজ: তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, আঁশ এবং লাইকোপেন, যা রক্তচাপ কমাতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। এতে থাকা এল-সিট্রুলিন রক্তচাপ ও ধমনীর কঠিনতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৬️: ঝুঁকি: ঝুঁকি এবং অন্যান্য সামার স্কোয়াশে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এতে ভিটামিন সি এবং আঁশও থাকে।
৭️: স্ট্রবেরি: একটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২.৫ সার্ভিং স্ট্রবেরি খেলে কার্ডিওমেটাবলিক ঝুঁকি কমতে পারে। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
শহীদ