ছবিঃ সংগৃহীত
ব্যস্ত জীবনে সবার আগে চাই সহজ ও কার্যকর স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস। সকাল শুরু হোক ভালো কিছু দিয়ে—তেমনই একটি উপকারী অভ্যাস হলো খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া। ছোট এই শুকনো ফলটিতে লুকিয়ে আছে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ। নিয়ম করে কয়েকটি কিশমিশ খেলে শরীর পায় দারুণ পুষ্টি আর মুক্তি মেলে নানা সমস্যা থেকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার ৮টি উপকারিতা—
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কিশমিশে থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক রেচক উপাদান হজমে সহায়তা করে এবং মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখে। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যেও এটি কার্যকর।
২. গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের আরামদায়ক প্রতিকার
যাঁরা প্রায়ই গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি বা পেটের গরমে ভোগেন, তাদের জন্য কিশমিশের পানি হতে পারে সহজ সমাধান। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজম শক্তি বাড়ায়।
৩. হার্ট রাখে সুস্থ
কিশমিশ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা নানা ভিটামিন ও মিনারেল হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
৪. লিভার ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় সহজে। এতে করে দেহ থাকে সজীব ও রোগমুক্ত।
৫. পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে
যাঁদের শরীরে অপুষ্টি বা ওজন কম, তাদের জন্য কিশমিশ দারুণ কার্যকর। এতে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরে শক্তি জোগায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদান যেমন ক্যাটেচিন ও পলিফেনল, যা শরীরকে ক্ষতিকর কোষ বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করে।
৭. রক্তচাপ ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশে প্রচুর পটাসিয়াম ও আয়রন থাকে। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতার প্রতিকারেও এটি কার্যকর।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কিশমিশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত খেলে সহজে অসুস্থতা ঘেঁষতে পারে না।
শেষ কথা:
প্রতিদিন সকালে কয়েকটি কিশমিশ রাতভর পানিতে ভিজিয়ে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। মাত্র এক সপ্তাহেই শরীরের পরিবর্তন অনুভব করবেন। সহজলভ্য এই উপাদানটির অভ্যাস গড়ে তুললে মিলবে সুস্থ, সতেজ ও প্রাণবন্ত জীবন।
আলীম
