
সন্তানকে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে বাবা-মায়েরা অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন করেন। পানি-মাটি থেকে দূরে থাকতে থাকতে শিশুর শরীরে 'ইমিউনিটি সিস্টেম' কাজ করে না। তাই খুব সহজেই 'অ্যালার্জি অ্যাটাক' হয়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। অ্যালার্জির আবার নানা রকমফের আছে। অ্যালার্জির কিছু উৎস যেমন ঘরেই আছে, তেমন ঘরে জমে থাকা ধুলো, বিশেষ খাবার থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।
অ্যালার্জি হলে শুধু ত্বকে র্যাশ বার হয়। এই ধারণা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। চিকিৎসকদের মতে, অ্যালার্জির আরও নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সর্দি-কাশি, জ্বরও হতে পারে। ডাক্তারি পরিভাষায় যা 'হে ফিভার' বলা হয়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে। তবে সচেতন থাকলে শিশুকে অ্যালার্জির হানা থেকে বাঁচাতে পারেন।
১) প্রকৃতির জল-হাওয়া-মাটির সান্নিধ্যে বড় হতে দিন শিশুকে। মাঠে দৌড়ঝাঁপ করতে পাঠান। এতে শিশুর শরীরে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।
২) বাড়িতে পোষ্য থাকলে সন্তানকে ছোট থেকেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিন। এর ফলে শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
৩) ছোটো থেকেই সন্তানকে ফলমূল, শাকসব্জি খাওয়ান। ফর্মুলা দুধের বদলে একটু বড় হলে সন্তানকে গরুর দুধ খাওয়ান। এতে খাদ্যজাত অ্যালার্জির কবলে পড়বে না শিশু।
৪) শিশুদের সামনে ধূমপান করবেন না। সিগারেট, বিড়ির ধোঁয়া থেকেও শিশুর সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুর চৌহদ্দির মধ্যে ভুলেও স্মোক করবেন না।
৫) ছোট থেকেই শিশুকে বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গোলমরিচ, আদা, হলুদ। এগুলি শিশুকে খাওয়ান।
সজিব