
ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন ধরনের খাবারে এমন উপাদান থাকে, যা প্রদাহ কমাতে ও ব্যথা উপশমে ভূমিকা রাখে এবং সংযুক্তির সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। উদাহরণ হিসেবে তেলযুক্ত মাছ, ফলমূল, শাকসবজি, লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, বীজ এবং মসলা উল্লেখযোগ্য।
১️. তেলযুক্ত মাছ: স্যালমন, ট্রাউট, সার্ডিন, ম্যাকেরেলের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এই ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আরথ্রাইটিস ফাউন্ডেশন সপ্তাহে ২-৪ বার ৩-৬ আউন্স মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেয়। রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস (RA) আক্রান্ত ১৭৬ জনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে দুই বা ততোধিক বার মাছ খান, তাদের রোগের কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
২️: ফারমেন্টেড খাবার: দই, কেফির, কোমবুচা, আচার, সোরডো ব্রেড ইত্যাদি ফারমেন্টেড খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৩️: ফল ও শাকসবজি: রঙিন শাকসবজির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যেমন: ব্রোকলি, গাজর, পালং শাক, কেল, মিষ্টি মরিচ, টমেটো।
৪️: গ্রিন টি: গ্রিন টিতে থাকা ইপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩-গ্যালেট (EGCG) প্রদাহ কমাতে কার্যকর। তবে চায়ে চিনি কম ব্যবহার করতে হবে, বেশি চিনি প্রদাহ বাড়াতে পারে।
৫️: উন্নতমানের তেল: অলিভ, সূর্যমুখী, তিল, অ্যাভোকাডো ও চিনাবাদামের তেল প্রদাহ কমাতে সহায়ক স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে।
৬️: ডাল ও মসুর জাতীয় খাবার: ডাল, মসুর, ছোলা ও মটর প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদানে সমৃদ্ধ।
৭️: লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার: লো-ফ্যাট দুধ, দই প্রদাহ কমাতে ও সংযুক্তি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।
৮️: বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজ প্রদাহ কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
৯️: মসলা ও হার্বস: দারুচিনি, রসুন, আদা, হলুদ ও জাফরান প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সহায়ক।
১০: প্রদাহ কমাতে সহায়ক ফল: আপেল, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, লেবু, কমলা, চেরি, পীচ, প্লাম।
শহীদ