
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমূল বদলে গেছে। যাত্রীরা এখন আর আগের মতো বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বহন করেন না। তার পরিবর্তে স্মার্ট, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফরেক্স কার্ড।
এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ফরেক্স কার্ড বাজারে ৬.৭ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা নগদের তুলনায় এর জনপ্রিয়তা কতটা বাড়ছে তা স্পষ্ট করে। ব্যক্তিগত ভ্রমণ, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বিদেশ গেলে ফরেক্স কার্ড একটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী উপায়।
ফরেক্স কার্ডের সুবিধা
১️. নিরাপত্তা: প্রতারণার ঝুঁকি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম: নগদ অর্থ হারালে তা পুনরুদ্ধার প্রায় অসম্ভব। The Nilson Report অনুযায়ী, ভ্রমণ সংক্রান্ত আর্থিক ক্ষতির প্রায় ৫০ শতাংশ ঘটে নগদ হারানোর কারণে। অথচ ফরেক্স কার্ড হারিয়ে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করা যায় এবং পুনরায় ইস্যু করানো যায়।
২️. মুদ্রা মূল্যের ওঠানামা থেকে সুরক্ষা: ফরেক্স কার্ড লোড করার সময় এক্সচেঞ্জ রেট ‘লক’ করা যায়, ফলে পরবর্তীতে রেট বাড়লেও ব্যয়ের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
৩️. সাশ্রয়ী খরচ: নগদের তুলনায় ২-৫% বেশি লাভ: বিশ্বব্যাংকের মতে, হোটেল, এয়ারপোর্ট বা এক্সচেঞ্জ কাউন্টারগুলোতে সাধারণত ৬-৮% অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়। ফরেক্স কার্ডে এক্সচেঞ্জ রেট আগেই নির্ধারিত থাকে এবং ট্রানজ্যাকশন চার্জ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।
৪️. বহুমুদ্রা সমর্থন: Visa-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ আন্তর্জাতিক যাত্রী বহুমুদ্রা ব্যবহারের জন্য ফরেক্স কার্ড বেছে নেন।
৫️. বাজেট ব্যবস্থাপনায় সহায়ক: International Travel & Payments Association-এর গবেষণায় দেখা গেছে, নগদ বহনকারী ৬৫ শতাংশ যাত্রী পরিকল্পনার তুলনায় বেশি খরচ করেন। ফরেক্স কার্ডে থাকে মোবাইল অ্যাপ, এসএমএস-ইমেইল এলার্ট এবং স্পেন্ডিং লিমিট নির্ধারণের সুবিধা।
৬️. গ্লোবাল গ্রহণযোগ্যতা: Mastercard-এর তথ্য মতে, বিশ্বের ৯০% এর বেশি মার্চেন্ট ফরেক্স কার্ড নেন।
৭️: লুকানো খরচ কম: ফরেক্স কার্ডের ফি স্ট্রাকচার স্বচ্ছ এবং ডাইনামিক কারেন্সি কনভার্সন ফি অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না।
শহীদ