ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরান হামলার জেরে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ২২ জুন ২০২৫

ইরান হামলার জেরে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও ধ্বংসাত্মক সংঘাতের সূচনা করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ডেভিড ফিলিপস। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ এবং বারাক ওবামার প্রশাসনে পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি গবেষক।

আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড ফিলিপস বলেন, “ট্রাম্প বলেছিলেন, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দুই সপ্তাহ সময় রাখা হবে। কিন্তু সেই সময় শেষ না হওয়ার আগেই হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা এখন সরাসরি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইরান কেবল ইসরায়েলের নয়, এখন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রেরও হামলার শিকার হয়েছে। পারস্য জাতির জাতীয়তাবাদ এবং সম্মানের গুরুত্বকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ইরান প্রতিশোধ নিতেই চাইবে এবং সেটি শুধুমাত্র সামরিক নয়, কৌশলগতভাবেও হতে পারে।”

বিশ্লেষক ফিলিপস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এ হামলা একবারেই শেষ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি না। এটি কেবল শুরু। মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে থাকা মার্কিন সেনাঘাঁটি, লোহিত সাগরের বাণিজ্যপথ এবং অন্যান্য কৌশলগত স্বার্থ এখন চরম ঝুঁকিতে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই আগাম ও একতরফা হামলা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক জটিল সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে, যার পরিণতি শুধু অঞ্চলেই নয়, পুরো বিশ্বব্যবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ফিলিপস বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু সামরিক নয়, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক খাতেও যুক্তরাষ্ট্র চাপে পড়বে।”

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছিল, ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতেই দুই সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার আগেই সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, অনেকের দৃষ্টিতে ‘একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা’।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে এটি বিশ্ব রাজনীতির ভারসাম্য বদলে দিতে পারে, এমনকি বৃহত্তর সামরিক জোটগুলোকেও নতুন করে বিতর্কে ফেলে দিতে পারে।

মিমিয়া

×