
ইরানের ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুনিপুণ’ বিমান হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি ‘পূরণ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (২২ জুন) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “অভিযানের শুরু থেকেই আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম—ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হবে, কোনও না কোনওভাবে। আজ আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে।”
তিনি জানান, “কিছুক্ষণ আগে, আমার এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয় এবং ইসরায়েলি ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর যৌথ অপারেশনাল সমন্বয়ের মাধ্যমে ইরানের ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।”
নেতানিয়াহু এই ‘সাহসী পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমেরিকার অসাধারণ ও ন্যায়নিষ্ঠ শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার এই সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।”
তার ভাষায়, “এই হামলা প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই অতুলনীয়। এটি ইতিহাসের একটি কেন্দ্রবিন্দু তৈরি করেছে, যা মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়শই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি। প্রথমে শক্তি আসে, তারপর আসে শান্তি।”
একই দিন একটি পৃথক বিবৃতিতে তিনি জানান, এই হামলা ইসরায়েলের সাথে সমন্বয় করে পরিচালিত হয়েছে এবং তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি কার্যত বাস্তবায়িত হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানান, মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। কয়েকদিন চিন্তাভাবনার পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই অভিযানে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েলের প্রথম হামলার পর থেকেই তেহরান ও তেল আবিবের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। উভয় দেশ একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তবে এই অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
সজিব