.
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে সনদ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা অগ্রসর হতে গেলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের বারবার সরে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েক শত চাকরিপ্রত্যাশী প্রেসক্লাবের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আধা ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। আন্দোলনকারীদের দাবি, নিবন্ধনের ফলে অনিয়ম ও বৈষম্য হয়েছে।
কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এনসিটিবি সূত্র বলছে, ফেল করার পরও পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি অযৌক্তিক। এই চাকরিপ্রত্যাশীরা রবিবারও এনটিআরসিএ ভবন অবরোধ করে রেখেছে। কর্মসূচিতে আহতদের মধ্যে রয়েছেন লিপি আরা, রিসাত আরা, আনোয়ারা আক্তার, আয়শা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মো. আলাল, জিহাদ হাসান, আনিসুর রহমান, রুকন ও রকি হোসেন। শিহাব হোসেন গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোলাম মোস্তফা ও আজিজুর রহমানের হাত ভেঙে গেছে। অনেক আহত প্রার্থী বারডেম ও অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তারা জানান, এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি করছি। তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী ভাইভায় পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন নম্বর পাওয়ার পরও অনেক মেধাবী প্রার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
২০ নম্বরের ভাইভায় ১২ নম্বর নির্ধারিত একাডেমিক ফলাফলের জন্য, বাকি ৮ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৩.২ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু বহু প্রার্থী সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও অকৃতকার্য হয়েছেন। গত ৪ জুন ১৮তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর থেকেই তা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রার্থীরা।
প্যানেল
