ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ভূমি মন্ত্রণালয়ের চারটি পদক্ষেপ! খুব দ্রুত বেদখল সম্পত্তি পুনরুদ্ধার হবে

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২১ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৭, ২১ জুন ২০২৫

ভূমি মন্ত্রণালয়ের চারটি পদক্ষেপ! খুব দ্রুত বেদখল সম্পত্তি পুনরুদ্ধার হবে

ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমি মালিকদের হয়রানিমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও ভূমি উপদেষ্টা চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে বেদখল হওয়া সম্পত্তি সহজেই মালিকের দখলে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১. দখল পুনরুদ্ধার সহজ হবে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে

সরকার ইতোমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজ করেছে। অটোমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ভূমি মালিক এখন ঘরে বসেই নিজের সম্পত্তির তথ্য জানতে পারছেন। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুসারে কোনো ব্যক্তি যদি তার মালিকানা দাবি করে অথচ কোনো বৈধ দলিল বা রেকর্ড না দেখাতে পারেন, তাহলে তাকে জমি ছেড়ে দিতে হবে—even যদি তিনি ১০০ বছর ধরে ভোগ করেন।

২. নির্ভুল রেকর্ড ও খতিয়ান তৈরি

বিডিএস জরিপের মাধ্যমে নির্ভুল রেকর্ড তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে সরকারি সম্পত্তিকে সাধারণ মানুষ আর ভোগ করতে পারবে না এবং জনগণের সম্পত্তিও সরকার অধিগ্রহণ করবে না। সিএস খতিয়ান থেকে শুরু করে সর্বশেষ বিডিএস খতিয়ান পর্যন্ত প্রতিটি মালিকানা ইতিহাস সংরক্ষিত হচ্ছে। এক নম্বর খাস খতিয়ানের জমিগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার পুনরুদ্ধার করবে—এমন নির্দেশনা দেশের সব জেলা প্রশাসকদের দেওয়া হয়েছে।

৩. দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও রায় বাস্তবায়ন

পূর্বের মতো মামলায় বছরের পর বছর সময় নষ্ট না করে এখন অনলাইনের মাধ্যমে সমন প্রদান, প্রমাণপত্র গ্রহণ এবং দ্রুত রায় কার্যকর করার পদ্ধতি চালু হয়েছে। সর্বোচ্চ চারবার টাইম পিটিশন দেওয়া যাবে এবং রায় ঘোষণার পর সরাসরি জমি বুঝে পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৪. ভূমি উন্নয়ন কর সংগ্রহে অনলাইন ব্যবস্থা

ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে দেওয়া যাচ্ছে। খাজনা প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গেই ডিসিআর (দাখিলা) পাওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রতিটি অনলাইন ডকুমেন্টস-এ QR কোড সংযুক্ত রয়েছে, যা আদালত বা যেকোনো দপ্তরে বৈধ হিসেবে গণ্য হবে।

এই চারটি পদক্ষেপের কারণে ভূমির প্রকৃত মালিকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সরকারও নিজস্ব সম্পত্তি দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবে। অনলাইনে যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ থাকায়, জমি নিয়ে প্রতারণা বা অনধিকার প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, "সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে জনবান্ধব করেছে। দুর্নীতি রোধ ও হয়রানি বন্ধে আমরা কাজ করছি।" ভূমি উপদেষ্টাও জানান, "সারাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি চালু করে দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমরা প্রস্তুত।"

এই পদক্ষেপগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তবে সাধারণ জনগণ যেমন নিজেদের জমি ফিরে পাবেন, তেমনি সরকারের বেদখল সম্পত্তিও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে—এটাই বর্তমান সরকারের প্রত্যাশা।

সূত্রঃ https://youtu.be/fD6PP2_IZZg?si=hTraOkni_D1f-iLy

ইমরান

×