ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

গাজায় সহায়তা কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা

প্রকাশিত: ০০:৪২, ২২ জুন ২০২৫

গাজায় সহায়তা কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা

গাজার অবরোধ-বাণিজ্যের মাঝেই খাদ্যের আশায় ভিড় জমেছে হাজারো ক্ষুধিত মানুষ। সেই মুহূর্তে ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত হয় মানবতার দুর্দান্ত দৃশ্য। তাতে সর্বশেষ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারানোদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন গাজার হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) এর খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে অপেক্ষারত সাইনিক যাদের জাতিসংঘ ‘সহায়তার অস্ত্র ধরে ব্যবহৃত’ হিসেবে তীব্র সমালোচিত করেছে।

সেখানে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ গাজার এলাকা আল-মাওয়াসি থেকে পাওয়া খবর এখানে ইসরায়েলি ড্রোনের হামলায় তিনজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুটি পরিবারের সদস্যরা ছিল আশ্রয়প্রার্থী, এবং হামলার সময় তাঁরা বিশ্রামের জন্য খোলা টেন্টে অবস্থান করছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় ঘটনাস্থল চলতি সময় ‘নিরাপদ’ অভিহিত এলাকা ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা যায়, সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ২০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১,০৩৭ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘবর্ণেরই ইসরায়েলি অভিযানের ছায়ায় এখন পর্যন্ত ৫৫,৯০৮ জন নিহত ও ১,৩১,১৩৮ জন আহত আইনি ও মানবিক সংকট এক গভীর অবসাদ সৃষ্টি করছে।

সাম্প্রতিক হামলার অন্যতম গুরুতর মোড় লক্ষণ হলো খাদ্যপ্রাপ্তির কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ। সোমবার খান ইউনিসে শেষ হামলায় তিন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। হতভাগ্য লোকজন বিপদসীমার এভারেজের ধারে ।

“এই কেন্দ্রগুলোতে গুলি হলো, আমি কাঁপতে থাকলাম মৃত্যুর ছায়ায়,” বলেন একজন আহত, ওমর আল-হোবি।ইসরায়েল দাবি করেছে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণই লক্ষ্য ছিল, তবু আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ গুলিতে নিয়ন্ত্রণের নামে উপেক্ষিত গুলি হয়েছে, যার ফলে অসংখ্য হতাহত।

লাল ক্রসের ফিল্ড হাসপাতাল জানিয়েছে—GHF কেন্দ্র চালুর পর রোগীর কান্ডগুলোতে অধিকাংশই খাবারের অপেক্ষায় অবস্থানকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।দ্রুত সংকট আরও বাড়িল গাজায় ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্ন। ফলে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা এবং সংবাদবিবরণীর প্রবাহ সবেই ঘেরাটোপে ভারতিত।

এ অব্যাহত সহিংসতায় বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে। সহায়তা কেন্দ্রে হামলার ছবি হরিজনের ছাপায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ, জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা শুরু ভিন্ন ভূখণ্ডে।
 

ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিদিনের খাবার-সহায়তা কেন্দ্রকেই ফসল্ননের ডেডলাইন স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সমর্থন বঞ্চিত মানুষের ওপর এক অদেখা আঘাত। ব্লকেজ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত “সহায়তা দেওয়া” সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠছে খাবারের এস্কর্ট করে জীবন সংঘরে যাওয়ার এক গবেষণামূলক আশিয়ানা। ফলে গাজার প্রতিটি মানুষ ত্রাণ উপভোগের ইচ্ছা কতদিন পর্যন্ত ক্ষুধার চোখে আগুন জ্বালিয়ে রাখবে, সেটা মানবতা-সহ সহিংসতার মধ্যখানে পাওয়া সবচেয়ে মানবিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

 

সূত্র:আল জাজিরা

আফরোজা

×