ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে কাঁচা হলুদের কার্যকর ভূমিকা

প্রকাশিত: ০১:০৯, ২২ জুন ২০২৫

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে কাঁচা হলুদের কার্যকর ভূমিকা

সংগৃহীত

কাঁচা হলুদ দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শুধু ত্বকের যত্নেই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহনাশক) এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খাদ্য তালিকা কাঁচাহলুদ রাখলে হজমের উন্নতি হয়, গ্যাসের সমস্যা কমে এবং পাকস্থলীর প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে কাঁচা হলুদের উপকারিতা

  • গ্যাস্ট্রিক বা পাকস্থলীর অস্বস্তি এখন একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা নিমন্ত্রণে কাঁচা হলুদ বেশি কার্যকর।
  •  কাঁচা হলুদ পাকস্থলীতে অ্যাসিডের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাসের সমস্যা কমানো।
  • পাকস্থলীর প্রদাহ কমিয়ে আরাম দেয়।
  •  হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি (Helicobacter pylori)ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারণ।

কাঁচা হলুদের উপকারিতা পেতে সঠিক সময় ও পদ্ধতিতে খাওয়া জরুরি।

কখন খাবেন:

  • খালি পেটে
    • কালের দিকে খেলে হজমে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।
    • খাবারের ৩০-৪৫ মিনিট পরে খেলে গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে।
  •  কীভাবে খাবেন
    • ছোট করে কেটে চিবিয়ে খেতে পারেন।
    • গরম পানির সঙ্গে কাঁচা হলুদ ও মধু মিশিয়ে পান করা যাবে।
    • কাঁচা হলুদ দুধে সিদ্ধ করে খাওয়া উপকারী।

 পরিমাণ:

  • প্রতিদিন ১ থেকে ২ গ্রাম কাঁচা হলুদ খাওয়া যথেষ্ট।
  • অতিরিক্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত।

সতর্কতা

  • কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক হলেও অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা, বমি বমি ভাব বা অন্যান্য অস্বস্তি হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদী গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করে গ্যাস্ট্রিকসহ অনেক সাধারণ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কাঁচা হলুদের মতো সহজলভ্য উপাদান নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন গঠন সহজ হয়।

হ্যাপী

×