
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা শনিবার সড়ক অবরো
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় সড়ক প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কয়েক দফায় তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ। উল্টো পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। হয় ধাক্কাধাক্কিও।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবস্থানের পর নতুন কর্মসূচি দিয়ে সড়ক ছাড়েন তারা। রাত ৮টার মধ্যে সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে আবারও নতুনবাজার ব্লকেডসহ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। তবে রাত ৮টার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২২ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান।
এ দিকে দিনব্যাপী অবরোধের কারণে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডামুখী সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, কুড়িল, বসুন্ধরাসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী চাকরিজীবী ও সাধারণ যাত্রীরা। আন্দোলনের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকালে সড়ক ব্লকেড করেন শিক্ষার্থীরা। সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু তা মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। পুলিশের অ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ হয়ে কিছু সময়ের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই তারা আবারও সংগঠিত হয়ে পুণরায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় শুয়ে পড়তে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের একটি দল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাদের। পুলিশ কয়েকজনকে শার্টের কলার ধরে গাড়ির দিকে নিয়ে যায়।