
শাবিতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিতে কোন নারী শিক্ষক বা কর্মকর্তা না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। ছাত্রী শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে ভাল কথা, কিন্তু পুরুষদের সামনে একজন নারী কিভাবে তার ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করবে? আমরা চাই একজন নারী শিক্ষককে রাখা উচিত কমিটিতে।
এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিহা আফরিনকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়।
এর আগে প্রক্টরিয়ার বডির তিন পুরুষ সদস্যের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষিতে শনিবার (২১জুন) বিকালে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রক্টর বলেন, কমিটিতে অবশ্যই একজন নারী শিক্ষক থাকা উচিত। সে বিষয়টি বিবেচনা করে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিহা আফরিনকে কমিটিতে একজন নারী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঈদের পূর্বে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে অচেতন করে সহপাঠী কর্তৃক ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার (১৯মে) অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এতে অভিযোগ তুলেন সহপাঠী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থের বিরূদ্ধে। শুধু যৌন নির্যাতন নয়, তা ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে ব্লাকমেইল করছিলো বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এঘটনায় প্রাথমিক সতত্যা পাওয়ায় ১৯ মে রাতেই দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২০ জুন সিলেট কোতোয়ালী থানায় আটক ২জন ও অজ্ঞাতসহ ৫ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এদিকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজু