
ছবি: সংগৃহীত
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৬ প্রকাশিত হয়েছে। এবারের তালিকায় বিশ্বের নামকরা প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শীর্ষ অবস্থান দখল করলেও পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে।
পাকিস্তানের কোয়েটা-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় (QAU) এবারও দেশের সর্বোচ্চ র্যাংকপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। তালিকায় এরপর রয়েছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি (NUST) এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৬ সালের কিউএস র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশের ১,৫০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এশিয়া ও ইউরোপের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বড় ধরনের অগ্রগতি করেছে। তবে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শীর্ষ স্থানগুলো দখলে রেখেছে।
এই বছর পাকিস্তানের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শীর্ষ ৭০০ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে কোয়েটা-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় (QAU) ৩৫৪তম স্থানে রয়েছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি (NUST) ৩৭১তম স্থানে অবস্থান করে প্রকৌশল ও অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে।
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪২তম স্থানে রয়েছে, গবেষণা ও আঞ্চলিক প্রভাবের দিক থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (LUMS) ৫৫৫তম স্থানে রয়েছে, যা ব্যবসা ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে তাদের সুনামকে তুলে ধরছে।
এছাড়া, কৃষি শিক্ষায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার, ফয়সালাবাদ ৬৫৪ নম্বরে রয়েছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উজ্জ্বলতা দেখানো কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামাবাদ ৬৬৪ নম্বরে অবস্থান করছে। প্রতিষ্ঠানটি কম্পিউটার সায়েন্সে জাতীয়ভাবে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
শিক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩০টিরও বেশি পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় জায়গা করে নেওয়ায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানের ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে। কোয়েটা-ই-আজম, NUST এবং COMSATS-এর মতো প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক সাফল্য জাতীয় নেতৃত্ব ছাড়াও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আসিফ