
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসনসহ ৫ দফা দাবিতে শনিবার কলেজের শহীদ মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন
বিকল্প আবাসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন দাবির আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান কলেজের অধ্যক্ষ ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম। একইসঙ্গে হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদেরকে আজ দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার থেকে এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থী এর আওতামুক্ত থাকবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্বাস করে, ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান এই সংকট কাটিয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পুরানো একাডেমিক ভবন, ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাস এবং ডা. আলীম চৌধুরী ছাত্রীনিবাস অতিপ্রাচীন ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা।
এসব ভবন পাঠদান ও বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এখনো সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে দিন দিন মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে, বার বার বলা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম বলেন, ছাত্ররা দ্রুত হোস্টেল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এর মধ্যে কলেজের পুরোনো একটি ছাত্রাবাস বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে কয়েকজন ছাত্র এখনো থাকছেন। তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও সেখানে থাকছেন।
অধ্যক্ষ কামরুল আলম আরও বলেন, প্রতিবছর নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এমবিবিবিএস শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ বছর ঢাকা মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।