
বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরণের মাদকদ্রব্য। এরফলে ধবংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ। বিশেষ করে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা মরন নেশায় আশক্ত হয়ে পরেছেন। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হাত বাড়ালিই পাওয়া যায় ইয়াবা, গাঁজা।
স্থানীয়রা জানান, মাদকের এ ভয়াবহ বিস্তার দিন দিন বিস্তারের ফলে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন। সন্ধ্যা নেমে এলেই গ্রামের ছোট বড় বাজারগুলো মাদকবাজারে পরিণত হয়। কেশবপুর ইউনিয়নের কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, মৃধার বাজার (উত্তর ও দক্ষিণ পাশে), চৌমুহনী বাজার, সিকদার বাজার, কেশবপুর বাজার,পরিত্যক্ত সমাজকল্যাণ ভবন (লাভলু চেয়ারম্যান বাড়ির দক্ষিণ পাশে) ভুইয়া বাড়ি ঈদগাহ মাঠ, ভরিপাশা মোক্তার ডিলারের বালুর মাঠ,ভরিপাশা পুরাতন ও মাঝের খেয়াঘাট,তালতলীবাজার, বাদামতলী বাজার, মমিনপুর ও মন্ডলের বাজার, বাজেমহল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিচে, মাস্টার পয়েন্ট, জিরো পয়েন্টে কালামিয়ার বাজার, অপু চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের নদীপাড়, এএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা ও সেবন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাদকের জন্য এখন মেয়েরা কেউ রাস্তায় নিরাপদ নয়। তাদের চলাফেরাও সীমিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই বলেন, রাতের বেলায় এ মাদকসেবীদের একটি অংশ চুরি ও ডাকাতিতেও জড়িয়ে পড়ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে-যাদের দায়িত্ব এসব বন্ধ করা, তারাই নাকি এসব চক্রের পৃষ্ঠপোষক। ফলে প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে বর্তমান প্রজন্ম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কেশবপুর ইউনিয়ন একদিন মাদকের ইউনিয়ন হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।
রাজু