
ছবিঃ জনকণ্ঠ
আকাশ নীরব। বাতাস থমকে গেছে। চারদিকে শুধু কান্না। মাত্র ১২ বছরের তাছলিমা আক্তারের মুখে একটাই প্রশ্ন, বাবা আমি কি আর বাচবো না। এই প্রশ্নে কেঁপে উঠেছে পুরো গ্রামের হৃদয়।
তাছলিমা বগুড়া জেলার গাবতলীর উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেতেরকান্দি গ্রামের দিনমজুর তাজুল ইসলাম দরিদ্র কৃষকের একমাত্র কন্যা সন্তান। ছোট থেকেই মেধাবী, মুখে হাসি লেগেই থাকতো। তার স্বপ্ন ছিল একজন ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবে।
কিন্তু এখন সে নিজেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তাছলিমার শরীরে বাসা বেঁধেছে ভয়ংকর বোন ক্যানসার। বাম পায়ের হাড়ে ধরা পড়েছে এই প্রাণঘাতী রোগ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জীবন বাচাতে বলে জরুরী অপারেশন এবং কেমোথেরাপি দরকার। যার খরচ প্রায় ২০ লাখ টাকা।
কিন্তু এই বিপুল টাকা কোথা থেকে আসবে? বাবা তাজুল ইসলাম নিজের জমিজমা, গবাদিপশু, যা ছিল সব বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন তিনি দিনমজুর। মেয়ে বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করছেন, কিন্তু হেরে যাচ্ছেন গরিবি আর সময়ের কাছে।
তাছলিমার মা শাজিনা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়েটা সারাদিন বলে, মা, আমার সপ্ন ছিল মানুষের সেবা করবো, আমি কি মরেই যাবো মা? আমি কীভাবে শান্তনা দিই তাকে।
ভাই শাখিন নিজের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে বোনের চিকিৎসার জন্য। হারিয়ে আজ আমরা শুধু একটি আশার অপেক্ষা, যদি কোন হৃদয়বান মানুষ পাশে দাঁড়াতেন, তাহলে আমার বোন আগের জীবন ফিরে পেতো।
বর্তমানে তাছলিমার চিকিৎসা চলছে সিরাজগঞ্জের খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অপারেশন ও সময়মতো চিকিৎসা না হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না।
এদিকে স্থানীয়রা মসজিদে মাইকিং করে, ঈদগাহে চাঁদা তুলে কিছু সাহায্য করছেন, কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় একফোঁটা জল মাত্র। তাই স্থানীয়রা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
আলীম