ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল তাঁকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। একই হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে তাঁর উত্তরাধিকারী কে হবেন, তা জানিয়ে দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি। বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা অবস্থায়ই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনজন মুসলিম ধর্মগুরুকে বেছে নিয়েছেন খামেনি। তবে এই তালিকায় নিজের ছেলে মোজতাবাকে রাখেননি তিনি। এতদিন শোনা যাচ্ছিল, ইরানের পরবর্তী শাসক হিসেবে মোজতাবাকে তৈরি করা হচ্ছে। ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেই এই দাবি করেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
শুধু নিজের উত্তরাধিকারী নয়, ইসরায়েলের হামলায় ইরান সেনার যে কমান্ডাররা নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্থলাভিষিক্ত কারা হবেন, সেই তালিকাও খামেনি তৈরি করছেন বলে খবর।
ইরানের ওই সরকারি কর্মকর্তারাই দাবি করেছেন, ইসরায়েল অথবা আমেরিকার হাতে যে তাঁর মৃত্যু হতে পারে, সেই আশঙ্কা খামেনি নিজেও করছেন। সেই কারণেই তড়িঘড়ি নিজের উত্তরসূরির নাম চূড়ান্ত করতে চান খামেনি। একান্তই ইসরায়েল বা আমেরিকার হামলায় তাঁর মৃত্যু হলে তিনি নিজেকে শহিদ বলেই মনে করবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন খামেনি।
ইরানে ধর্মগুরুদের একটি গোষ্ঠী দেশের সর্বোচ্চ নেতাকে নিযুক্ত করেন। তিনি যে তিনজনের নাম বেছে নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনকে দ্রুত পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ধর্মগুরুদের নির্দেশ দিয়েছেন খামেনি। সাধারণত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনে এক মাসের বেশি সময় লাগে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিস্তর আলোচনার পরই নতুন শাসকের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে দেশে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তাঁর অনুপস্থিতিতেও ইরানের অস্তিত্ব রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন খামেনি। সেই কারণেই দ্রুত নিজের উত্তরসূরির নাম চূড়ান্ত করে রাখতে চান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। যাতে তাঁর কিছু হয়ে গেলে খামেনির উত্তরাধিকারিই দেশের হাল ধরতে পারেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছিলেন যে চাইলেই তাঁরা খামেনিকে তাঁর গোপন ডেরা থেকে খুঁজে বের করে প্রাণে মারতে পারেন।
শহীদ
