ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

দারুণ সুখবর

নতুন ভূমি আইনে DC অফিসেই করে দিচ্ছে জমি সংক্রান্ত ৫টি সমস্যার সমাধান, মাত্র ৩ মাসেই!

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ২০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪৩, ২০ জুন ২০২৫

নতুন ভূমি আইনে DC অফিসেই করে দিচ্ছে জমি সংক্রান্ত ৫টি সমস্যার সমাধান, মাত্র ৩ মাসেই!

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশজুড়ে জমি সংক্রান্ত জটিলতায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের জন্য এ এক দারুণ সুখবর। এখন থেকে সরাসরি জেলা প্রশাসকের (DC) অফিস থেকেই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ জমি সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে, তাও মাত্র তিন মাসের মধ্যেই! ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত কিছু সমস্যা এখন থেকে আর আদালতের জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না গিয়েই ডিসি অফিসে সমাধান করা যাবে।

✅ কোন ৫টি সমস্যার সমাধান মিলবে DC অফিসে?

১. ওয়ারিশদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ / বাটোয়ারা সমস্যা:
এক বা একাধিক ওয়ারিশের দ্বারা অন্য ওয়ারিশদের বঞ্চিত করে জমি দখল বা নামজারি করলে ডিসি অফিসে আবেদন করে দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে। আদালতের মতো বাটোয়ারার মামলার প্রয়োজন হবে না।

২. সরকারি খাস জমি জবরদখল:
কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি রাস্তা, জলাশয় বা খাস জমি জবরদখল করে জনসাধারণের চলাচলে বা ব্যবহারে বাধা দেয়, তাহলে ডিসি অফিস তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবে।

৩. খাল বা জলাশয় ভরাট বা খননের বিরোধ:
অনুমতি ছাড়া কেউ খাল বা দোবা খনন বা ভরাট করলে এবং এর ফলে ফসলি জমি বা আশেপাশের পরিবেশের ক্ষতি হলে, ডিসি অফিসে অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া যাবে।

৪. হঠাৎ জবরদখল বা উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ:
নিরবিচারে কেউ নিজের জমি ভোগ দখল করছিলেন—এমন অবস্থায় হঠাৎ করে প্রভাব খাটিয়ে কেউ জমি দখল করতে চাইলে ডিসি অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. জমির নামজারি বা খতিয়ান সংশোধনে বাধা:
বৈধ মালিকানা থাকা সত্ত্বেও নামজারি বা খতিয়ান সংশোধনে যদি অসুবিধা হয়, বিশেষ করে কোনো ব্যবসায়িক প্রকল্প, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজ বা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে—তাহলে তিন মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

✅ কিভাবে আবেদন করবেন?

এই পাঁচটি সমস্যার যেকোনো একটির জন্য আবেদন করতে হলে ডিসি অফিসে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাইয়ের পর ডিসি অফিসের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠপর্যায়ে তদন্ত করবেন এবং প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর তিন মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে বা না পারলে কারণসহ প্রতিবেদন দিতে হবে।

❗ কিছু শর্ত ও বর্তমান বাস্তবতা

যদিও সব জেলা বা বিভাগে এখনো এই কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এটি চালু করা হবে। মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে লজিস্টিক সাপোর্ট ও পর্যাপ্ত জনবল। তবে সরকার দ্রুততার সাথে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।

সূত্রঃ https://youtu.be/rYJE5Gmo6aY?si=cWoqiHMy4e6OZ3T4

ইমরান

×