
ছবি:সংগৃহীত
সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তির নামজারি, জমা খারিজ ও খতিয়ান সংশোধনের নতুন নিয়মাবলী কার্যকর হয়েছে, যা সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা ও বিবাদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পূর্বে একাধিক ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ-বণ্টন সঠিকভাবে না হওয়ায় অসংখ্য সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হত। নতুন বিধান অনুযায়ী, পৈতৃক সম্পত্তির নামজারি বা জমা খারিজ করার জন্য সকল ওয়ারিশদের সম্মিলিত সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রত্যেক ওয়ারিশের নামসহ একটি ওয়ারিশান সনদ তৈরি করতে হবে, যা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে গ্রহণ করতে হবে। এরপর সকল ওয়ারিশ একত্রে বসে বাটোয়ারা দলিল বা বণ্টন দলিল প্রস্তুত করবেন এবং সেটি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে। এই দলিলের ভিত্তিতেই সম্পত্তির ভাগ অনুযায়ী নামজারি বা জমা খারিজ করা সম্ভব হবে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বাটোয়ারা দলিল ছাড়া অন্য কোনোভাবে খতিয়ান সংশোধন বা নামজারি গ্রহণযোগ্য হবে না। এর ফলে আগের মতো ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারি ও অন্যান্য অসঙ্গতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ভূমি অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিধিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিভিন্ন এলাকার ভূমি মালিক ও ওয়ারিশদের জন্য এই নতুন বিধান সম্পত্তির মালিকানার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং সামাজিক বিরোধ কমাতে সহায়ক হবে। সরকারের লক্ষ্য সম্পত্তির মালিকানা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা এবং রাজস্ব আদায় সুনিশ্চিত করা।
কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন, “নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী ওয়ারিশান সনদ সংগ্রহ, বাটোয়ারা দলিল তৈরি ও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে যেকোনো বিবাদ দূর হবে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।”
সার্বিকভাবে এই নতুন নিয়মাবলী বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভূমি অধিকার রক্ষায় ও অবৈধ দখল রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যেকোনো প্রশ্ন বা পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মারিয়া