ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি মন্ত্রীর উপস্থিতি ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৮, ৪ আগস্ট ২০২৫

আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি মন্ত্রীর উপস্থিতি ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ!

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির রোববার (৩ আগস্ট) জেরুজালেমের সবচেয়ে স্পর্শকাতর পবিত্র স্থান “টেম্পল মাউন্ট” বা আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে গিয়ে প্রার্থনা করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। গাজা যুদ্ধের উত্তাল সময়ে এমন একটি পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা বলছেন ‘ইচ্ছাকৃত উসকানি’।

১৯৬৭ সালে ইসরায়েল যখন পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়, তখন থেকে ইহুদিদের জন্য স্থানটিতে প্রবেশ অনুমোদিত হলেও প্রার্থনা নিষিদ্ধ। তবু বেন-গভির, একজন ডানপন্থী উগ্র নেতা, বহু বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা ভাঙার জন্য সক্রিয় ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, ইহুদি জনগণের সেখানে প্রার্থনার অধিকার থাকা উচিত।

তিশা ব’আভ উপলক্ষে বেন-গভির সেখানে প্রার্থনা করেন। এটি ইহুদি জাতির জন্য একটি শোকের দিন, যখন তারা প্রথম ও দ্বিতীয় টেম্পলের ধ্বংস স্মরণ করে। তবে প্রথমবারের মতো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রকাশ্যে সেখানে প্রার্থনায় অংশ নেন যা পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

বেন-গভিরের রাজনৈতিক উত্থান অনেকটা বিতর্ক আর চরমপন্থার মধ্য দিয়েই ঘটেছে। তিনি কট্টরপন্থী রাব্বি মেইর কাহানার অনুসারী ছিলেন এবং বহুবার বর্ণবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এমনকি তিনি সেনাবাহিনীরও অযোগ্য ঘোষণা হয়েছিলেন তাঁর চরমপন্থী মতাদর্শের কারণে।

২০২২ সালে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী জোটে বেন-গভির ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি মন্ত্রী’ হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই তিনি পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে নির্দেশ দেন, অস্ত্র বিতরণকে উৎসাহ দেন এবং গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন।

এক পর্যায়ে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগও করেন। তবে যুদ্ধ আবার শুরু হলে তিনি মন্ত্রিসভায় ফিরে আসেন। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও কিছু দেশ তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মুমু ২

×