
ছবি: সংগৃহীত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি সম্ভাব্য সমঝোতা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, "অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতা কোনো অবস্থাতেই আপসযোগ্য নয়।" হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম. গারবার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিদের জানিয়েছেন, এমন কোনও আর্থিক চুক্তি বা আলোচনা হচ্ছে না, এবং গণমাধ্যমে যেসব সংখ্যা ভাসছে তা ভুল এবং হোয়াইট হাউস থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস করা হয়েছে।চ
হার্ভার্ড এই মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এক গুরুতর আইনি দ্বন্দ্বে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গবেষণা তহবিল বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধেই এই মামলা। যদিও জুন মাসে আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছিল, গারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিষয়টি আদালতেই নিষ্পত্তি হতে পারে।
কোলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং সরকার মনোনীত একজন পর্যবেক্ষক তাদের কোর্স ও নিয়োগ তদারকি করছেন। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রশাসনের ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’ সংজ্ঞা মেনে নিয়েছে এবং জাতিগত কোটা বন্ধ করার নীতিতে সায় দিয়েছে। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এক ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটের সাঁতারের রেকর্ড মুছে দিয়েছে সরকারি চাপের মুখে।
গারবার জানিয়েছেন, কোনওভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তি নীতি বা গবেষণা স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ মানা হবে না। অভ্যন্তরীণভাবে ছাত্র, শিক্ষক ও প্রাক্তন ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি না স্বীকার করার জন্য।
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরাও সতর্ক করেছেন, যদি হার্ভার্ড আপস করে, তারা বিষয়টি তদন্তে নেবে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপিল আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ভার্ড এখন পর্যন্ত দুটি প্রাথমিক আদালত নির্দেশ পেয়েছে যা তাদের পক্ষে।
তবে কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, হার্ভার্ড ইতোমধ্যে নীরবে প্রশাসনের কিছু দাবির সাথে মিল রেখে কাজ করছে যেমন, ডাইভার্সিটি অফিস বন্ধ করা বা একাডেমিক কারিকুলামে পরিবর্তন।
মুমু ২