
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার ধরন ও খাদ্যাভ্যাস এর মূল কারণ। এমনকি ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যেও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা বাড়ছে। তবে কার্ডিওলজিস্টদের পরামর্শ—সঠিক খাবারই পারে এই ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজ জানান, সঠিক খাদ্যাভ্যাসই হল হৃদয় সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, যারা হার্টের রোগী, তাদের জন্য ডায়েট নির্বাচন আরও গুরুত্বপূর্ণ।
কী থাকছে হৃদয়বান্ধব খাবারে?
-
প্রতিদিন ফল ও নানা রঙের শাকসবজি রাখতে হবে প্লেটে। বেরিজাতীয় ও লেবু জাতীয় ফল, সবুজ শাক ও নানা ধরনের সবজি সরবরাহ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালস রুখে দেয়।
-
অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে গোটা শস্য, যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, উচ্চ ফাইবারজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
-
সাদা চালের ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস, লাল আটা বা মাল্টিগ্রেন খাদ্য বেছে নিতে হবে।
-
চর্বিহীন প্রোটিন যেমন ডাল, টোফু ও মুরগির মাংস রাখা যেতে পারে।
-
গুড ফ্যাট (যেমন বাদাম ও অলিভ অয়েল) খাওয়া যেতে পারে, তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যেমন ডীপ ফ্রাই খাবার বা ট্রান্স ফ্যাট) এড়িয়ে চলাই ভালো।
ব্যক্তিভেদে ডায়েট আলাদা
তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, খাদ্যাভ্যাস সবসময়ই ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়। তাই ডায়েট মেনে চলার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এমন খাদ্যাভ্যাস শুধু হার্ট নয়, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলসহ অন্যান্য অসুস্থতা থেকেও দূরে রাখতে পারে। তাই আজ থেকেই পাল্টে ফেলুন আপনার প্লেটের সাজ। হৃদয় থাকুক সুস্থ, জীবন হোক দীর্ঘ।
ইমরান