ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রোটিন পাউডার কি প্রতিদিন খাওয়া নিরাপদ?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ৪ আগস্ট ২০২৫

প্রোটিন পাউডার কি প্রতিদিন খাওয়া নিরাপদ?

ছবি: সংগৃহীত

প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট বা প্রোটিন পাউডার এখন অনেকের ডেইলি রুটিনের অংশ। বিশেষ করে ফিটনেস বা বডি বিল্ডিংয়ে আগ্রহীদের মধ্যে এর চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু প্রতিদিন স্কুপ করে খাওয়া কি সত্যিই নিরাপদ? বিশেষ করে যাদের লিভার বা কিডনির সমস্যা আছে, তাদের জন্য কি কোনো ঝুঁকি আছে?

প্রোটিন আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম, হরমোন, মাসল ফাংশন, এনজাইম তৈরি, এমনকি অ্যাসিড-বেস ব্যালান্স রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়ের প্রয়োজন ওজন অনুযায়ী গড়ে ০.৮-১.৬ গ্রাম/কেজি পর্যন্ত প্রোটিন। অর্থাৎ ৭০ কেজি ওজনের একজন মানুষের প্রয়োজন ৫৬-৭০ গ্রাম প্রোটিন প্রতিদিন।

যদি কেউ খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন না পান, তাহলে পরিমাণমতো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ নিরাপদ হতে পারে। তবে কিছু গুরুতর ঝুঁকি আছে:

  • অনেক পাউডারে অতিরিক্ত চিনি থাকে (প্রতি স্কুপে ২০-২৩ গ্রাম পর্যন্ত), যা ওজন বাড়াতে পারে।
  • কৃত্রিম সুইটেনার, ফ্লেভারিং, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • অনেক নিম্নমানের প্রোডাক্টে সীসা, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, মারকারি এর মতো ভারী ধাতু, পেস্টিসাইড বা বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে।
  • যাদের কিডনি সমস্যা আছে (জানা বা অজানা), তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কিডনির ওপর চাপ ফেলতে পারে।
  • ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে ওয়েই বা কেসিন বেসড প্রোটিন হতে পারে হজমে সমস্যা; তবে প্ল্যান্ট-বেসড প্রোটিন এ সমস্যা কম।

ড. সন্দীপ সাতসাঙ্গি, অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের হেপাটোলজিস্ট জানান, প্রোটিন খাবার থেকেই গ্রহণ করাই উত্তম। যেমন: ডাল, বাদাম, পনির, দুধ, সয়া, ডিম, মাছ, মুরগি, টোফু ইত্যাদি।

কিন্তু যদি সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে নিজের প্রোটিন চাহিদা বুঝে, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে কি না দেখে এবং কোনও রোগ আছে কি না, তা যাচাই করে উপযুক্ত পাউডার বেছে নিতে হবে। 

৩০ বছর পর থেকে প্রতি দশকে ৩-৫% মাসল লস হয়, এটি রোধে উপযুক্ত প্রোটিন ও এক্সারসাইজ জরুরি। তাই, সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অন্ধভাবে স্কুপ নয়, হেলথি প্র্যাকটিসেই আসল নিরাপত্তা।

মুমু ২

আরো পড়ুন  

×