
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর সেনবাগে যাত্রীবেশে সিএনজিতে করে ছিনতাই করে পালানোর সময় চার ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের জনরোষ থেকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
সেনবাগ থানা পুলিশ জানায়, রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৭ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের আলাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের রাস্তার সামনে বকুল নাহার নামের এক নারী একটি সিএনজিতে ওঠেন। এসময় যাত্রীবেশে থাকা চার ছিনতাইকারী হঠাৎ তার কাছ থেকে একটি ৬ আনার স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৬০ হাজার টাকা), একটি Oppo স্মার্টফোন (মূল্য আনুমানিক ১৮ হাজার টাকা) ও নগদ ২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে খলিল মিয়ার হাট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে ফেলেন। এরপর উত্তেজিত জনতা চার ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুকের দিকনির্দেশনায় ও থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসআই (নিরস্ত্র) সনৎ বড়ুয়া, এসআই (নিরস্ত্র) মো. জাকির হোসেন, এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা ও ফোর্সসহ পুলিশের একটি দল এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছিনতাইকারীদের উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
আটক ছিনতাইকারীরা হলো:
১. মো. হক সাহেব (৪০), পিতা-মৃত আব্দুর সহিদ, থানা: নোয়াখালী সদর (সুধারাম)।
২. মো. নুর নবী (৪৫), পিতা-তছির আহম্মেদ, থানা: রামগতি, জেলা: লক্ষ্মীপুর।
৩. ফজলে রাব্বি (২৮), পিতা-মৃত মানিক মিয়া, থানা: নোয়াখালী সদর (সুধারাম)।
৪. মো. জুয়েল হোসেন (৩৩), পিতা-মো. বাদশা মিয়া, থানা: ভান্ডারিয়া, জেলা: পিরোজপুর; বর্তমান ঠিকানা: অক্সিজেন, থানা: বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা: চট্টগ্রাম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে সেনবাগ থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০৮/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩৯২ পেনাল কোড রুজুপূর্বক আসামিদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রাকিব