
ছবি: জনকণ্ঠ
শেরপুরে গৌরবোজ্জ্বল ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “জুলাইয়ের মায়েরা” শীর্ষক এক হৃদয়স্পর্শী অভিভাবক সমাবেশ। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শত শত শহীদ পরিবারের সদস্য ও গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব দেখা গেছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শহীদদের মা, বাবা, ভাই-বোনসহ নিকটাত্মীয়রা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের স্বীকৃতি দিয়ে বলা হয় "এই মা-বাবারাই জাতির গর্ব, যাঁদের আত্মত্যাগে রচিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসাঃ হাফিজা জেসমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “শহীদ পরিবারগুলো জাতির ইতিহাসের অংশ। তাঁদের সম্মান জানিয়ে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মূল্যবোধের পথ দেখাতে চাই।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম রাসেল।
প্রতিনিধিত্বমূলক বক্তব্যে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের কষ্ট লাঘব করে না, কিন্তু সম্মান দেয়। এই স্বীকৃতিই আমাদের প্রেরণা।”
রাজনৈতিক ভেদাভেদ অতিক্রম করে এই অনুষ্ঠানকে পূর্ণতা দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাতেন। তাঁরা বলেন, “এটি দল-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে ইতিহাস ও মূল্যবোধকে সম্মান জানানোর এক সাহসী উদ্যোগ।”
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল বিনম্র শ্রদ্ধা, স্মৃতিচারণ এবং একটি প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মধ্যে আত্মত্যাগের গল্প পৌঁছে দেওয়ার মহৎ প্রয়াস।
আবির