
ছবিঃ সংগৃহীত
গত দুই বছরে পাকিস্তান তাদের বিমানবাহিনীকে নতুন রূপে সাজাতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। পুরোনো ও দীর্ঘদিনের সঙ্গী Mirage যুদ্ধবিমানগুলোর যুগ শেষের পথে, আর সেই জায়গা নিচ্ছে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী যুদ্ধবিমান।
সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ৪০টি জে-৩৫ স্টেলথ ফাইটার জেট কেনার পরিকল্পনা করছে। এই যুদ্ধবিমানগুলো চীনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি, যেগুলো রাডারে ধরা পড়ে না সহজে—অর্থাৎ শত্রুর চোখ এড়িয়ে খুব কাছ থেকে আঘাত হানতে সক্ষম। গতিশীলতা, অস্ত্র বহনের ক্ষমতা এবং রণকৌশলের দিক থেকেও জে-৩৫ নিঃসন্দেহে একটি বিপ্লবী সংযোজন হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষায়।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান তুরস্কের Turkish Aerospace কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনায় আছে। ভবিষ্যতে তারা একসাথে যুদ্ধবিমান তৈরির যৌথ প্রকল্পে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে। এতে শুধু বিদেশ থেকে কেনা নয়, বরং নিজেদের মাটিতেও বিমান তৈরির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান দেখিয়ে দিচ্ছে—তাদের লক্ষ্য শুধু পুরোনো ফ্লিট বদলানো নয়, বরং সামরিক শক্তিকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়া। অনেকদিন ধরেই যে Mirage যুদ্ধবিমানগুলো দায়িত্ব পালন করে এসেছে, সেগুলোর স্থলে এখন নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তিনির্ভর বিমান আসছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন উদ্যোগ শুধু পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার আকাশপথে কৌশলগত ভারসাম্যেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
এ যেন শুধু বিমানবাহিনী নয়—সমগ্র দেশের সামরিক সক্ষমতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর আরেকটি ধাপ।
মারিয়া