
ছবি : সংগৃহীত
ভোরের শান্ত পরিবেশ আর নির্মল বাতাস শুধু মন ভাল করে না, শরীরকেও রাখে সুস্থ ও সতেজ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেই দূরে রাখা সম্ভব পাঁচটি গুরুতর শারীরিক সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত সকালের হাঁটার অভ্যাস শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, হরমোন ব্যালান্সে সহায়তা করে এবং মানসিক চাপ হ্রাস করে। এ ছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি, হাড়ের সমস্যা ও বিষণ্নতার মতো সমস্যাগুলো প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
কোন কোন রোগ দূর হবে?
১. ডায়াবেটিস:
হাঁটার ফলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. হৃদরোগ:
নিয়মিত হাঁটার ফলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. বিষণ্নতা ও মানসিক চাপ:
হাঁটার সময় নিঃসৃত এন্ডরফিন শরীরকে দেয় প্রশান্তি, মন রাখে ফুরফুরে।
৪. স্থূলতা ও ওজন বৃদ্ধি:
সকালের হাঁটা ক্যালোরি বার্ন করে ওজন কমায়, যা স্থূলতাজনিত অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা করে।
৫. হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা:
হাঁটার ফলে হাড় মজবুত হয় এবং বাত কিংবা আর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যা অনেকটাই দূরে থাকে।
🕘 কখন ও কীভাবে হাঁটবেন?
🔹 প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ২০–৩০ মিনিট হাঁটুন
🔹 হাঁটার আগে হালকা নাশতা করুন, যেমন একটি কলা বা কিছু বাদাম
🔹 আরামদায়ক পোশাক ও জুতা পরুন
🔹 হাঁটার সময় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম বলেন, “নিয়মিত সকালের হাঁটার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে। এটি একটি অলৌকিক অভ্যাস, যা শরীর ও মনের উপর যুগপৎ প্রভাব ফেলে।”
কেবল ওষুধ নয়, সঠিক সময়ের একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও হতে পারে সুস্থতার চাবিকাঠি। তাই শরীর ও মন দুটোকেই ভাল রাখতে, আজ থেকেই শুরু হোক সকালের হাঁটার যাত্রা।
Mily