
ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে: ১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা ১৯৫০ সালের জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় চারগুণ বেশি রেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এই গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডানা-ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ১৫% হারে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এটি মূলত পরিবেশগত ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলাফল, যাকে তাঁরা বলছেন “birth cohort effect”।
আধুনিক তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, বসে বসে সময় কাটানো, ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস এবং পরিবেশে রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ বেড়ে যাওয়াই এর পেছনে মূল কারণ।
এই ক্যান্সারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত নয়। মূলত আধুনিক জীবনের অব্যবস্থাপনা এবং খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী।
রেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ
- মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য)
- মল ত্যাগের পরেও সম্পূর্ণ পরিষ্কার না হওয়ার অনুভূতি
- রক্ত মিশ্রিত মল (লাল বা গা dark ় লাল)
- পেট ব্যথা
- অতিরিক্ত ওজন হ্রাস
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কারণসমূহ
- অতিরিক্ত ওজন: স্থূলতা রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়ায়, বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে।
- টাইপ-২ ডায়াবেটিস: উচ্চ ইনসুলিনের কারণে ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংস বেশি খাওয়া, এবং ফল, সবজি ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: ধূমপান ও অ্যালকোহল ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
- ইতিহাস: পূর্বে ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
- IBD (ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ): দীর্ঘদিনের আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোনস ডিজিজ।
- বংশগত সমস্যা: লিঞ্চ সিনড্রোম বা ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোমেটাস পলিপোসিস (FAP)।
- জাতি ও বর্ণভিত্তিক বৈষম্য: ব্ল্যাক, হিস্পানিক ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের হার বেশি।
মুমু ২