
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের এক উসকানিমূলক মন্তব্যের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন ‘উপযুক্ত এলাকায়’ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, মেদভেদেভের “উসকানিমূলক মন্তব্যের” কারণে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন—যদি এসব মন্তব্য শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।
তিনি বলেন, “কথার গুরুত্ব অনেক। কখনো কখনো কিছু কথা বড় ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে। আমি আশা করি এবার তেমন কিছু হবে না।”
এই নির্দেশের ফলে সাবমেরিনগুলো আসলে কোথায় যাবে বা কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এসব পারমাণবিক সাবমেরিন সবসময়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহলে থাকে। তবুও এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে আছে।
ট্রাম্প আরও জানান, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন, যাতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা এগোয়। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি কোনো অগ্রগতি না দেখায়, তাহলে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ট্রাম্প আগে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন সেটি কমিয়ে ১০ দিনে নামিয়ে এনেছেন। এই সময় শেষ হবে আগামী সপ্তাহে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প মেদভেদেভকে “ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “ভাষা ব্যবহারে সাবধান হও।” এর জবাবে মেদভেদেভ বলেন, “রাশিয়া সব বিষয়ে সঠিক এবং নিজ পথে এগিয়ে যাবে।”
এই বাকযুদ্ধ শুরু হয় যখন মেদভেদেভ বলেন, “ট্রাম্প রাশিয়াকে আল্টিমেটাম দিচ্ছে—৫০ দিন না হলে ১০ দিন।” তিনি বলেন, “ট্রাম্পের মনে রাখা উচিত, রাশিয়া কোনো ইসরায়েল বা ইরান নয়। প্রতিটি আল্টিমেটাম যুদ্ধের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ জার্সি যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কোন এলাকায় সাবমেরিন পাঠাচ্ছেন। ট্রাম্প বলেন, “এটা করতেই হতো। আমাদের সতর্ক থাকতে হয়।” তিনি বলেন, “যখন হুমকি দেওয়া হয়, তখন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।”
আবির