জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের রায়েরবাজার গণকবরের লাশগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
আজ দুপুরে রাজধানীর রায়েরবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের গণকবর পরিদর্শন ও কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশগুলো শনাক্ত করার পর শহিদ পরিবারের সদস্যরা চাইলে নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে গিয়েও সমাহিত করতে পারবেন।” তিনি আরও জানান, রায়েরবাজার গণকবরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ১১৪ জনের লাশ সমাহিত করা হয়েছে।
জুলাই শহিদদের গণকবর নির্মাণকাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি না কমলে কিছুই ঠিক হবে না। এই যে শহিদদের কবর দেখলেন, এখানেও ভালো মানের ইট ব্যবহার করা হয়নি।”
এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে উন্নত মানের ইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ তদারকির আহ্বান জানান। প্রকৌশলী কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ঠিকাদার পরিবর্তনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর বলেন, “গণকবরে যেহেতু ডিএনএ টেস্ট করা হবে, সেহেতু লাশগুলোর ময়নাতদন্ত হয়ে যাবে। এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, যেখানে চিকিৎসকরাও থাকবেন। কমিটির সদস্যরাই বিস্তারিত জানাবেন প্রক্রিয়াটি কেমন হবে।”
ময়নাতদন্ত না হওয়ায় অনেক মামলার তদন্ত আটকে আছে — সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেকেই শহিদ হয়েছেন। বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং কিছু মামলার বিচার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব, সব দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পরবর্তীতে উপদেষ্টা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)-২ এর ব্যারাক এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২ এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।
সানজানা
