ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

পিত্তপাথর: কী খাওয়া উচিত ও কী পরিহার করবেন

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২ আগস্ট ২০২৫

পিত্তপাথর: কী খাওয়া উচিত ও কী পরিহার করবেন

গলস্টোনকে বাংলায় পিত্তথলির পাথর বা পিত্তপাথর বলা হয়।এটি পিত্তথলিতে (Gallbladder) ছোট ছোট পাথরের মতো কঠিন বস্তু যা পিত্তরসের উপাদান থেকে তৈরি হয়। 

পিত্তথলি হল একটি ছোট থলি যা যকৃতের নিচে থাকে এবং পিত্তরস জমা করে রাখে। যখন পিত্তরসের উপাদানগুলোর মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, তখন এই পাথর তৈরি হতে পারে। 

পিত্তথলির পাথর সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।তবে, কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ বা জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যেতে পারে। 

কী খাবেন 

  • উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: দানা (whole grains), ফল ও শাকসবজি।
    উদাহরণ: ওটস, ব্রাউন রাইস, তাজা ফল, সবজি।

  • হেলদি ফ্যাটস খুব সীমিত পরিমাণে: অলিভ অয়েল বা রাইস ব্রান অয়েলের মতো মনো ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটস।

  • সলিড প্রোটিন উৎস: চিংড়ি, মুরগি (চামড়া ছাড়া), ডাল-মটরশুঁটি, তোফু।

  • ভিটামিন C যুক্ত ফল: কমলা, স্ট্রবেরি, কিউই, টমেটো ইত্যাদি।

  • বীট ও গাজর: বিপাক সহজ করতে সহায়তা করে এবং প্রদাহ কমাতে পারে।

  • আদা, হলুদ: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।

  • পর্যাপ্ত পানি পান: রাতে ডিহাইড্রেশন ও পিত্ত স্ফীতির ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পানি পান করুন।

কী এড়িয়ে চলবেন 

  • ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার যেমন ফরাসি ফ্রাই, ভাজাভুজি।

  • পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: ফুল-ফ্যাট দুধ, গাঢ় দই, উচ্চ চর্বিযুক্ত চিজ।

  • লাল ও প্রসেসড মাংস: সসেজ, বেকন, স্যলামি ইত্যাদি।

  • রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেট এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার: কেক, পেস্ট্রিসহ।

  • ব্যবহারিকভাবে বেশি ডিমের কুসুম (excessive egg yolks)।

  • কঠিন চর্বি: বাটার, লার্ড, মার্জারিন।

  • মতপানে অতিরিক্ত মদ্যপান ও ক্র্যাশ ডায়েট (হঠাৎ ওজন কমানো) vermijden।

এছাড়াও, দাঁত না শক্ত চর্বি যুক্ত খাবার ও উচ্চমাত্রায় নির্ধারিত চিনিযুক্ত পানীয়, গলস্টোন তৈরির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে ।  

সানজানা

×