
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংগীতশিল্পী মৌসুমী চৌধুরীর গাওয়া গান— ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ সেই সময় প্রেরণা জুগিয়েছিল। তবে এই গানের জন্য চড়া মূল্যও দিতে হয়েছিল শিল্পীকে, কয়েকবার পালিয়ে থাকতে হয়েছিল তাকে।
গানটি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৌসুমী চৌধুরী বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে আমরা কথা বলতে পারিনি। আমাদের কোনো বাক্স্বাধীনতা ছিল না। ফলে অনেক কিছু আমাদের সহ্য করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন হয়তো স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, মুখটা আটকে ধরছে না কেউ, তবু আমরা স্বাধীন নই। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেই যাচ্ছি।
মৌসুমী চৌধুরী বলেন, ১৬-১৭ বছর থেকেই আন্দোলন হচ্ছে। আমি ২০২২ সালে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে আন্দোলনে শামিল হয়েছি। গানটা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২৩ সালে। গানটি লিখেছেন আমার গুরু ইথুন বাবু।
মৌসুমী চৌধুরী বলেন, ‘২০২৩ সালে গানটি রেকর্ড করি, লেখক আমার গুরু ইথুন বাবু। এরপর রাজশাহীর বিএনপির সমাবেশে এটি গাই। গানটি নিয়ে সারা দেশে ঘুরেছি। তখনকার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গান করা মানেই ছিল জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। অনেক হুমকি পেয়েছি, বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে, এমনকি গ্রামের বাড়ি থেকেও হুমকি আসত।’
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন গানটি মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত হন, ‘শিক্ষার্থীরা তো দেশের ভবিষ্যৎ, তাদের রক্ত ঝরা আমাদের বিবেক নাড়া দিয়েছে।’
সানজানা