ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

বিনোদন বিভাগের সব খবর

‘জ্বীন থ্রি’র গান ‘কন্যা’ প্রকাশ

‘জ্বীন থ্রি’র গান ‘কন্যা’ প্রকাশ

ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমা। মুক্তিকে সামনে রেখে সিনেমাটির ‘কন্যা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। গানটিতে দেখা গেছে রঙিন আর প্রাণোচ্ছ্বাসে ভরা উৎসবের আমেজ। গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান। উৎসবের আবহে নির্মিত এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।  গানটির ভিডিওতে দেখা যায় ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমার দুই অভিনয়শিল্পী আব্দুন নূর সজল ও নুসরাত ফারিয়াকে। দুজনের পোশাকেও রঙের ছড়াছড়ি। দুজনের নাচও প্রাণবন্ত। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে, ‘কন্যা’ এমন একটি গান, যা বাঙালির যেকোনো উৎসবে গাইতে পারবে, নাচতে পারবে, বাজাতে পারবে।

দাম্পত্য প্রেমের গল্পে তৌসিফ-নিহা

দাম্পত্য প্রেমের গল্পে তৌসিফ-নিহা

সময়ের ব্যস্ত টিভি নায়কদের মধ্যে অন্যতম এখন তৌসিফ মাহবুব। একই কথা বলা যেতে পারে তরুণ অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা প্রসঙ্গে। তবে এই দুজনকে ছাপিয়ে অনেকটা পথ অভিজ্ঞতা ও সফলতায় এগিয়ে রয়েছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। এই তিনপক্ষ যখন প্রথমবার কোনো প্রজেক্টে এক হন, তবে তো কথাই নেই। এবারের ঈদে সিএমভির ব্যানারে অন্যতম চমক হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে বিশেষ নাটক ‘অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ’। যে নাটকে মুখ্য দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও নাজনীন নিহা। চিত্রনাট্য লিখেছেন যথারীতি নির্মাতা শিহাব শাহীন নিজেই। নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন মাসুম রিজওয়ান ও আয়েশা লাবণ্য। নাঈম ফুয়াদের সিনেমাটোগ্রাফিতে বিশেষ এই নাটকে উঠে আসবে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হওয়া এক নতুন দম্পতির গল্প। নির্মাতা শিহাব শাহীন জানান, একটি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের পর প্রাথমিক যে জটিলতাগুলো তৈরি হয় একে অপরকে বুঝতে, মূলত সেই দিকটাকে উপজীব্য করে গল্পটি এগিয়েছে। এটি একাধারে যেমন রোমান্টিক তেমন প্র্যাকটিক্যালও। ‘অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ’-এর প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এবারের ঈদে সিএমভির ব্যানারে ২০টি বিশেষ নাটক মুক্তির প্রস্তুতি রয়েছে। যা চাঁদরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত কবে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।

উপস্থাপনায় ব্যস্ত শ্রাবণ্য তৌহিদা

উপস্থাপনায় ব্যস্ত শ্রাবণ্য তৌহিদা

দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শ্রাবণ্য তৌহিদা। গ্ল্যামার ও মেধার অন্যতম দৃষ্টান্ত তিনি। পেশাদার চিকিৎসক হওয়ার পরেও সমানতালে কাজ করছেন শোবিজে। স্পোর্টস শো, সেলিব্রিটি শো, কুকিং শো কোথাও তার কমতি নেই। আসন্ন ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই উপস্থাপিকা বলেন, বিভিন্ন টেলিভিশনে ঈদের শো-এর শূটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে। এবার তুলনামূলক শো কম করছি। প্রতি রোজায় একশ করলে এবার করছি ৬০টির মতো। রমজানে চারটি চ্যানেলে শো চলছে। এনটিভি, মাছরাঙা, চ্যানেল আই ও নাগরিক টিভিতে শোগুলো যাচ্ছে। সামনে আইপিএলের শো করব। একটি স্পোর্টস শো শুরু হবে যেখানে আমাকে দর্শক নতুনভাবে দেখবে। এপ্রিলে ভালোবাসা দিবসের প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করব। এ ছাড়াও অচিরেই নতুন একটি শো শুরু হবে। এ রকম শো এর আগে দেশে হয়নি। শোটিতে চমক আছে। তিনি বলেন, কথায় আছে কষ্ট করলে তার ফল পাবেই।

বিচারকের আসনে পূর্ণিমা

বিচারকের আসনে পূর্ণিমা

মাছরাঙা টিভিতে প্রচার চলছে সেরা রাঁধুনী নামক রান্নায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই প্রতিযোগিতার জেলাভিত্তিক পর্ব। সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের কাছে এই প্রতিযোগিতা প্রিয় একটি নাম। এই প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন তারা পুরস্কার হিসেবে ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। প্রতি দুই বছর পর পর এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো চলছে এই প্রতিযোগিতা। আর এমন একটি বিরাট রন্ধন বিষয়ক রিয়েলিটি শোয়ের প্রধান বিচারক হিসেবে এর আগে তিনবার বিচারকার্য সম্পন্ন করেছিলেন পূর্ণিমা। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধান বিচারকের ভূমিকায় আছেন তিনি। চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা বলেন, এবারের আয়োজন আরও একটু বেশি জমকালো। সবকিছুরই আয়োজন একটু বেশি। শুধু তাই নয়, আমরা যে সেট-এ স্টুডিও রাউন্ডে কাজ করছি সেই সেটেও বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে, আরও আধুনিকতর করা হয়েছে। যে কারণে সেটটাও আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গ্র্যান্ড অডিশন থেকে প্রতিযোগীরা যখন স্টুডিও রাউন্ডে মহামঞ্চে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন এবং ইউনিক টাস্কগুলো দিয়ে, মজার মজার রান্না করে যখন নিয়ে আসেন সেই খাবারগুলোও হয় ভীষণ স্বাদের। প্রত্যেক প্রতিযোগীই তাদের সেরাটাই দেবার চেষ্টা করছেন সেরা রাঁধুনী হিসেবে। গেল প্রায় দুই মাস ধরে এই নিয়েই আমার ব্যস্ততা। যে কারণে ঈদে আমাকে অন্যান্য অনুষ্ঠানে দেখার সুযোগটা একেবারেই কম। মাছরাঙ্গা টিভির একটি রোজা বিষয়ক অনুষ্ঠানেও দুটি পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন পূর্ণিমা। উল্লেখ্য, সেরা রাঁধুনীর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুলাই আগস্টে। গ্র্যান্ড অডিশন পর্ব থেকেই স্টুডিও রাউন্ডে মোট ২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন। আর এই স্টুডিও রাউন্ডেরই প্রধান বিচারক পূর্ণিমা। অডিশন পর্ব থেকে স্টুডিও রাউন্ড হয়ে  গ্র্যান্ড ফিনালে পর্যন্ত উপস্থাপক হিসেবে আছেন দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ। সেরা রাঁধুনী সিজন ৮ যথারীতি প্রযোজনা করছেন মাছরাঙার নির্বাহী প্রযোজক অজয় পোদ্দার।

এখনো ঈদ কার্ড উপহার দেন আঁখি আলমগীর

এখনো ঈদ কার্ড উপহার দেন আঁখি আলমগীর

খুব ছোটবেলায় ঈদের আগে নিউমার্কেট থেকে আর্ট পেপার কিনে নিজ হাতে কার্ড বানাতেন সংগীত তারকা আঁখি আলমগীর। সমসাময়িক ভাই-বোন বা বন্ধুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো, কার তৈরি কার্ড সবচেয়ে বেশি সুন্দর হয়। দেশের ভেতর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা পেত সেই কার্ড। কখনো আবার দেশের বাইরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদেরও সেই কার্ড পাঠানো হতো। আঁখি আলমগীর বলেন, আমি এখনো দেশের বাইরে গেলে কার্ডের দোকানে যাই। কার্ড কিনি। প্রিয়জনদের জন্য বা হয়ত নিজের জন্য কার্ড কিনে দেশে ফিরে ড্রয়ারে রেখে দেই। এটি আমার অন্য ধরনের ভালো লাগার একটি বিষয়। মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিদিন সকালের নিয়মিত অনুষ্ঠান রাঙা সকালের ঈদের বিশেষ আয়োজনে এসে সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর আরও বলেন, এক সময় প্রিয়জনকে চিঠি লিখতেন। লেখার প্যাডে পারফিউম ছড়িয়ে চিঠি লেখার নিনজা টেকনিকও নাকি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। আঁখি আলমগীরের জীবনীশক্তি বরাবরই প্রশংসা পায় সংগীত জগতে। এ প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, একবার বাংলা নববর্ষে একই দিনে ৩টি শো’তে বিরতিহীনভাবে গান করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বেশ কয়েকবার ঢাকার বাইরে থেকে শো করে জ্যাম ঠেলে ঢাকায় আরেকটি শো ধরার রেকর্ডও রয়েছে। অভিনয় ও সংগীত-দুই শাখাতে একমাত্র শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র  পুরস্কার বিজয়ী আঁখি আলমগীর ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে বলেছেন, আইন বিষয়ে পড়াশোনার মাঝেই ছেদ পড়েছিল। তবে সুযোগ পেলে নতুন করে পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী পরিচয়েও নিজেকে পরখ করে নিতে চান, মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্যর সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ৭টা থেকে ৯টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।