ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

বিনোদন বিভাগের সব খবর

মানসম্মত সিনেমার অভাবে বন্ধ হচ্ছে হল

মানসম্মত সিনেমার অভাবে বন্ধ হচ্ছে হল

ঈদ কেন্দ্রিক হয়ে গেছে দেশের চলচ্চিত্র। সারা বছর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও ঈদের সময় চলচ্চিত্র মুক্তির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তখন সিনেমা হল মালিকরাও নড়েচড়ে বসেন। ঘষে মেজে হলের সংস্কারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে কি একটা দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব? শুধুমাত্র সিনেপ্লেক্স দিয়ে কি একটি দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেওয়া যায়? পৃথিবীর অন্য দেশ যখন চলচ্চিত্র শিল্পকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের চলচ্চিত্র দিনকে দিন ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। দেশের চলচ্চিত্র শিল্প সংকটকাল অতিক্রম করছে এটাই বাস্তবতা। দর্শক শূন্যতা ও ব্যবসায়িক লোকসানের মুখে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল। ঢাকার সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৪৪টি। এর মধ্যে বড় সিনেমা হলগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি চালু আছে। ২০১৯ সালে ফিল্মপাড়া’খ্যাত কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের বাতি নিভে যায়। বর্তমানে সেখানে ২২ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর হাজার আসনের সিনেমা হল অভিসারও বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়েছে গুলিস্তান, বিউটি, রূপমহল, নাজ, শাবিস্তান, মল্লিকা, পূরবী, স্টার, সুরমা, লায়ন, যমুনা, আগমন, ডায়না, জোনাকি, চিত্রামহল, অতিথি, মানসী, পূর্ণিমা, পদ্মা, মুন’সহ অনেক সিনেমা হল। দেশে চৌদ্দশ হলের এখন বাকি আছে দেড়শ’র মতো। বাকি হল মালিকদের মুখেও বিদায়ের সুর। কোন কোন জেলা শহরে সিনেমা হলই বিলুপ্ত। লোকশানের বোঝা বইতে না পেরে প্রযোজকরা সিনেমায় টাকা লগ্নি করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। চলচ্চিত্রের এই করুণ পরিণতির জন্য প্রযোজক-পরিচালক দায়ী করছে হল মালিকদের। অন্যদিকে হল মালিকরা অভিযোগ তুলছে মানহীন ছবিতে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আবার চলচ্চিত্র শিল্পীরা ছবি প্রদর্শনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে। চলচ্চিত্রশংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছে, এর দায় সরকারের। সিনেমা হল মালিকরা মনে করছেন, দেশে ভালো সিনেমা তৈরি হচ্ছে না। যার জন্য দর্শক হলমুখী হচ্ছে না। দেশের সিনেমা হলগুলো কেন বন্ধ হচ্ছে এম প্রশ্নে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মুধুমিতার কর্ণধার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জনকণ্ঠকে বলেন, মধুমিতা সিনেমা হল ঐতিহ্যের প্রতীক। কষ্ট হলেও এ ঐতিহ্যকে এখনো ধরে রেখেছি। আপাতত রবিবার থেকে আমার হলে ছবি দেখানো বন্ধ করেছি। গত ঈদে ‘বরবাদ’ দেখিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন দেখানোর পর এখন আর দর্শক নেই সে কারণে আপাতত বন্ধ। এই ঈদে আবার চলছে। এবার ‘তা-ব’ সিনেমা দেখাচ্ছি। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ভালো ছবির অভাব। ভালো কোনো কণ্টেন্ট নেই। মাত্র দুই ঈদে ছবি আসে, অন্য সময় নেই, এভাবে তো আর চলচ্চিত্র টিকে রাখা সম্ভব না। তিনি বলেন, ঈদের পরে দুই একটা ছবি এলেও খুবই নি¤œ মানের। এগুলো দর্শক দেখে না। আগে তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অবস্থা ছিল না। আমি মনে করি আমাদের দেশে অনেক মেধা আছে, ছবি তৈরির সামর্থ্যও আছে কিন্তু প্রডিউসাররা এখন টাকা খরচ করতে চায় না। যার ফলে হলের সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। পয়সা লগ্নি করলে তা আর উঠে আসে না। এখন হল টিকিয়ে রাখতে হলে সুপার-ডুপার ছবি বানাতে হবে, নচেৎ ভবিষ্যতে আরও সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে। সারা বাংলাদেশে সকল হল মালিকদের কষ্ট হচ্ছে। পকেটের টাকা খরচ করে হল টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে তাই অনেক সময় মাথা গরম হয়ে যায় তাই হয়তো বলে ফেলি হল রাখব না। তার মানে এই না সত্যি সেটা করছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্ট সুদীপ্ত কুমার দাশ জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দেশে কেন সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে কিছুটা পেছনে ফিরে যেতে হবে। আমাদের দেশে সিনেমার সোনালি দিনে হলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১২৩৫টার মতো। সর্বশেষ ১৯৯২-৯৮ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের সিহাব অনুযায়ী হল মালিকরা রেগুলার ট্যাক্স পে করত। পরবর্তীতে এর সঙ্গে ভ্যাট যোগ করা হলো। শুল্ক ও ভ্যাট মিলে একশ তেরো শতাংশ করা হয়। যে কারণে সিনেমা হলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি আকাশ উন্মুক্ত করে দিল অর্থাৎ কোনো রকম কোনো নিয়ম নীতিমালা অনুসরণ না করেই ডিস এন্টোর মাধ্যমে টেলিভিশনে ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়া হলো। ১৯৯৪/৯৫ সালের দিকে এসে এটা যখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেল, সিনেমার দর্শক যারা পরিবার নিয়ে অথবা একসঙ্গে দশ পনেরো জন মিলে হলে গিয়ে নিয়মিত সিনেমা দেখত, সেই দর্শক হলে আসা বন্ধ করে দিল। কারণ, ঘরে বসে ভারতীয় অনেক জনপ্রিয় ছবি দেখার সুযোগ পেল দর্শক। ভারতীয় ছবির অনুকরণে আমাদের দেশের ছবি দেখার তেমন আগ্রহ দর্শকের ছিল না। তবে মাঝে মধ্যে হলে দর্শক আসত, যখন যে ছবিগুলো ছিল একেবারে মৌলিক ও সোশ্যাল সেন্টিমেন্টের সেগুলো ফ্যামিলি দর্শক দেখত। কিন্তু সেটার পরিমাণ একেবারেই কম। যে কারণে সিনেমা হলের ইনকাম কমতে থাকে। পাশাপাশি সরকারি ট্যাক্স আদায়ও কমতে থাকে। আমাদের কাছে যে হিসাব আছে তাতে দেখা যায়, ১৯৯৬-৯৭ সালে ট্যাক্স আদায় কমতে থাকে। ২০০০ সালে এসে একেবারে ২০ পর্সেন্টে নেমে যায়। এই অবস্থায় ২০০২ সাল থেকে সিনেমা হল বন্ধ হওযা শুরু হয়। যখন হল বন্ধ হওয়া শুরু হলো তখন আমাদের ছবিগুলোর জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল। কারণ ডিস এন্টেনা দিয়ে যে ছবি দেখে, সেই ছবিরই রিমেক দেখে হলগুলোতে। সেই কারণে দর্শকের আকর্ষণ হলের প্রতি অনেক কমে গেল। যার ফলে এক শ্রেণির প্রযোজক ও পরিচালক এই দুর্বলতার সুযোগে নোংরা যাকে বলে অশ্লিল ছবি তৈরি শুরু করে। এতে প্রথমে কিছু ভালোগার দৃশ্য থাকত, যে অংশ সেন্সরবোর্ড কেটে দিত, সেই দুশ্যগুলো চুপচাপ প্রিন্টের সঙ্গে জুড়ে দিত। এভাবেই শুরু হলো অশ্লিল নোংরা ছবির রাজত্ব। একপর্যায়ে সরাসরি স্যুট করত অশ্লিল দৃশ্য। এগুলো ছবির সঙ্গে লাগিয়ে দিত। এই ছবিগুলো যখন সিনেমা হলে চালানো শুরু হলো, তখন ফ্যামিলি দর্শক টোটাল হল বিমুখ হয়ে গেল। এটা আমাদের চলচ্চিত্রটাকে ধস নামিয়েছে। এটাই হচ্ছে, প্রধান কারণ। এর পওে তো পাইরেসিসহ আরও কিছু কিছু বিষয় আছে। দুদিন পরেই টিভিতে দেখা যেত পাইরেটেড ছবি। লোকাল ছবিগুলো দারুণভাবে লোকসানের মুখে পড়ে যায়। এ কারণেই আমাদের এই ব্যবসাটা মুখ থুবড়ে পড়ে। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জনকণ্ঠকে বলেন, চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসছে আমরা মনে করছি। তার কারণ কিছু কিছু ছবি এখন বেশ ভালো হচ্ছে, যা দর্শককে হলমুখী করছে। তবে এটা দুই ঈদ কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি এবার ঈদে ভালো ভালো ছবি আসবে। যদি আসে তাহলে নতুন করে হলগুলো খুলবে। এ রকম যদি সারা বছর চলে তাহলে হলগুলোকে ধরে রাখা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র ঈদের জন্য ছবি দিল প্রযোজকরা কিন্তু ঈদের পরে আর ভালো কোনো ছবি না থাকে তাহলে তো হল ধরে রাখা যাবে না। আমরা প্রযোজকদের কাছে ও পরিচালকদের কাছে অনুরোধ করব দর্শক যাতে হলে গিয়ে ছবি দেখতে পারে তারা যেন সারা বছর এ রকম ভালো ভালো ছবি তৈরি করে। আমরা হল থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব। পাশাপাশি বলব শুধু ঈদের ছবি দিলে হবে না, সারা বছর ছবি দিতে হবে।

বন্ধুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বিক্রান্ত ম্যাসি

বন্ধুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বিক্রান্ত ম্যাসি

প্লেন দুর্ঘটনায় বন্ধুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ‘টুয়েলভথ ফেল’ খ্যাত বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ভারতের আহমেদাবাদে ১২ জুন ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বোয়িং প্লেন। একজন যাত্রী ছাড়া সেই প্লেনের আর কোনো যাত্রী বেঁচে নেই। কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকা সেই লাশের ভিড়ে রয়েছেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসির বন্ধু ক্লাইভ কুন্দের। যিনি ওই বিমানের সহকারী পাইলট ছিলেন। আহমেদাবাদের ভয়ানক প্লেন দুর্ঘটনার শোক যে তার কাছে ব্যক্তিগত, সে কথা উল্লেখ করে অভিনেতা লেখেন, আহমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের কথা ভেবে আমার মন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে, কারণ এই শোক আমার ব্যক্তিগত। এই দুর্ঘটনায় আমার সম্পর্কীয় কাকা ক্লিফোর্ড কুন্দের ছেলে ক্লাইভ কুন্দেরকে হারিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যিনি ওই বিমানের সহকারী পাইলট ছিলেন। ঈশ্বর আমাদের সকলকে শক্তি দিন। বিক্রান্ত ম্যাসি জানান, ওই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দেরের সঙ্গে আদতে তার রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আপন চাচাত ভাই নন। ক্লাইভ আসলে তাদের পারিবারিক বন্ধু। নতুন পোস্টে সে কথা উল্লেখ করেই বিক্রান্ত জানান, আর কোনো জল্পনা-কল্পনা করবেন না দয়া করে। অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের শান্তিতে শোক পালন করতে দিন।

মায়ের কাছে সমু চৌধুরী

মায়ের কাছে সমু চৌধুরী

অভিনেতা সমু চৌধুরী ৯০ দশক থেকে এখনো অভিনয় করছেন। নায়ক দিয়ে শুরু করে এখন তিনি দেশের অন্যতম চরিত্রাভিনেতা। মাঝে খানিক বিরতিতে ছিলেন বটে। অভিনয়ের বাইরে মিডিয়ায় অভিনেতার অবস্থান অসম্ভব ভদ্র আর আড্ডাপ্রিয় একজন মানুষ হিসেবে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের গফরগাঁওয়ের মিসকিন মাজারের গাব গাছতলায় মাটির ওপর মাদুর পেতে গামছা পরে গভীর ঘুমে মগ্ন থাকার বিষয়টি ভাবিয়েছে অনেককে। অভিনয় শিল্পী সংঘের তত্ত্বাবধানে মাজার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিরাপদ উদ্ধারের পর অভিনেতাকে মধ্যরাতে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়, নিজ বাসায়। পাশাপাশি সংঘের কর্তারা ভাবছিলেন, যদি কোনো সাপোর্ট বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে সংঘের পক্ষ থেকে। কিন্তু সমু চৌধুরী জানান, তিনি একদম ফিট আছেন। মাঝে মাঝেই তিনি দেশের বিভিন্ন মাজারে বেড়াতে যান। তারই অংশ হিসেবে উক্ত মাজারে গিয়েছিলেন বুধবার (১১ জুন) রাতে। সঙ্গে বাড়তি কাপড় নেননি বলে, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সকাল নাগাদ গোসল করে পরনের কাপড় কেঁচে শুকাতে দেন। সেই ফাঁকে গা মোছার গামছাটি পরে গাছতলায় মাদুর পেতে শুয়ে একটু ঘুমিয়ে নেন। মূলত গাছের ছায়ায় শান্তির সেই ঘুমের ছবিটাই ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। এখানেই ঘটনাটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তখনই শেষ করেননি সমু চৌধুরী। ঢাকায় ফেরার পরই অভিনেতার মনে হলো তার মায়ের কথা। তিনি খুব করে চাইছিলেন, কিছুটা সময় যশোরে তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। সংঘ সায় দিলো। শুক্রবার দুপুরে সংঘের সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু গণমাধ্যমকে বলেন, গভীররাতে সংঘের তত্ত্বাবধানে ভাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ভাই বলছিলেন তার মায়ের কথা। মায়ের কাছে যেতে চান। ঢাকায় মন টিকছে না। ঢাকার বাসা থেকে কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে একই গাড়ি নিয়ে ভাই যশোরে চলে যান মায়ের কাছে। অপু আরও জানান, সমু চৌধুরী সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। তাকে নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন। অনেকেরই জানবার আগ্রহ থাকতে পারে, সমু চৌধুরীর পারিবারিক অবস্থান প্রসঙ্গে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, ঢাকায় নিজ বাসায় এসেও কেন যশোর ফিরে গেলেন বৃদ্ধ মায়ের কাছে। জানা গেছে, অভিনেতা এখনো সিঙ্গেল। যার জীবনে স্ত্রী-সন্তান-সংসার বিষয়ক কোনো জটিলতা নেই।

স্বপ্নের রাজ্যে মেহজাবীন

স্বপ্নের রাজ্যে মেহজাবীন

‘এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, তবু এটা আমাদেরই। ভালোবাসার শহরে যেখানে প্রতিটি রাস্তা ভালোবাসার গল্প বলে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি তিনি আমাদের গল্পটা এমনভাবে লিখেছেন। তোমার পাশে শান্ত সকালের জন্য, প্যারিসের ছাদে প্রতিধ্বনিত হাসির জন্য আর সেই বন্ধনের জন্য যা সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হয়। তুমি আমার প্রার্থনার উত্তর এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে’- প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে স্বামী আদনান আল রাজীবের সঙ্গে রোমান্টির ফটোশূটের পর ছবি পোস্ট করে এ কথা লেখেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের পরে তারকাজুটি আদনান আল রাজীব-মেহজাবীন চৌধুরীর সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাসিখুশি ছবি পোস্ট করা থেকে শুরু করে ঘোরাঘুরির বিষয়গুলো নেটিজেনদের মাঝে ধরা দিয়েছে।  সম্প্রতি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে রোমান্টিক ফটোশূট করেছেন এ তারকা জুটি। শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, ভালোবেসে একে অপরকে কাছে টেনে নিয়েছেন তারা। এদিকে নেটিজেনরা কমেন্ট বক্সে  রাজীব-মেহজাবীনের বেশ প্রশংসা করেছেন।  প্রসঙ্গত, মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মেহজাবীন পরিচিতি অর্জন করেন। এটিএন বাংলায় প্রচারিত টেলিভিশন নাটক ‘তুমি থাকো সিন্ধু পাড়ে’র মাধ্যমে তার ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অপূর্ব-তটিনীর ‘ফিরে আসা’

অপূর্ব-তটিনীর ‘ফিরে আসা’

জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও অভিনেত্রী তটিনীকে নিয়ে রুবেল হাসান নির্মাণ করেছিলেন নাটক ‘ফিরে আসা’। এই নাটকের গল্প ভাবনা অপূর্বর। নাটকটি রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। নাটকটির মিউজিক করেছেন প্রত্যয় খান। পরিচালক রুবেল হাসান জানান আগামীকাল রবিবার নাটকটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে। অপূর্ব বলেন, একই সময়ে ‘মি. অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড’ ও ‘ফিরে আসা’ নাটকে অভিনয় করেছিলাম। দুটি নাটকই মূলত দর্শকের যেন ভালো লাগে সেই ভাবনা থেকে গল্প নিয়ে ভাবা। রুবেল, সিনেমাটোগ্রাফার কামরুল ইসলাম শুভসহ পুরো ইউনিট অনেক শ্রম দিয়েছে দুটি কাজই ভালো করার চেষ্টা করেছিল। আর আমার শতভাগ চেষ্টা তো থাকেই সবসময়। তটিনী আগের চেয়ে অনেক ইমপ্রুভ করেছে সেটা বুঝাই যাচ্ছে। একটি কাজতো এরইমধ্যে অনেক সাড়া ফেলেছে। আশা করছি ফিরে আসাও দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলবে। তটিনী বলেন, অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে সেই সময় অনেকদিন পর কাজ হওয়ায় একটু নার্ভাস ছিলাম আমি। অপূর্ব ভাইয়া এমন একজন অভিনেতা যার সঙ্গে আমাদের জেনারেশনের শিল্পীদের কাজ করতে পারাটা পরম ভালো লাগার। তিনি ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। তার সঙ্গে অভিনয় করলে অভিনয়ে স্কুলিংটা খুব ভালো হয়। পরপর দুটি নাটকে অভিনয় করেও আমি অভিনয়ে নতুন আরও অনেক কিছু র্শিখতে পেরেছি। এটাই অনেক বড় বিষয়। আর রুবেল ভাই এমন একজন পরিচালক যিনি এডিটিং-এর ওপর ভরসা করে নাটক নির্মাণ করেন না। প্রতিটি দৃশ্য ধারনের ক্ষেত্রে তার প্রস্তুতি থাকে। নাটকপ্রেমী দর্শকের কাছে জুটি হিসেবে বেশ প্রিয় অপূর্ব-তটিনী জুটি। অপূর্ব ও তটিনীকে নিয়ে মেধাবী নাট্যনির্মাতা রুবেল হাসান প্রথম নির্মাণ করেছিলেন নাটক ‘বহিরাগত’।

‘উৎসব’ সিনেমার শো বাড়ল

‘উৎসব’ সিনেমার শো বাড়ল

নব্বই দশকের ফেলে আসা পারিবারিক নাটক-সিনেমার স্মৃতিকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘উৎসব’। ঈদে মুক্তি পাওয়া তারকাবহুল এই সিনেমার শো সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কেবল মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি দর্শকের আগ্রহে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে শো সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক তানিম নূর। নির্মাতা জানিয়েছেন, প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় ‘উৎসব’ সিনেমার শো ছিল ৯টি। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শো সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩টি। এছাড়াও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাতেও বেড়েছে শো। প্রথম সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় সপ্তাহে কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাতেও প্রদর্শিত হবে ‘উৎসব’। সিঙ্গেল হলে সিনেমাটি মুক্তির কথা হচ্ছে জানিয়ে তানিম নূর বলেন, ঢাকার বাইরে সিঙ্গেল স্ক্রিনে আমাদের সিনেমাটি প্রদর্শনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন অনেকে। কথা শুরু হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সেটা চূড়ান্ত হবে। দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের এই উন্মাদনা, দেখার আগ্রহ সত্যি আমাদের আপ্লুত করছে, অনুপ্রাণিত করছে। তারা নিজেরা সিনেমাটি দেখছেন, তার পাশের জনকে বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন। সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান প্রমুখ। সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করেছেন রাশেদ জামান। চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া। ব্র্যাক ব্যাংক প্রেজেন্টস ‘উৎসব’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট।