ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে হামলা করলো ইসরায়েল

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১৫ জুন ২০২৫

ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে হামলা করলো ইসরায়েল

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবার পৌঁছাল জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রে। ইসরায়েল সরাসরি ইরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যা এই সংঘাতকে নতুন এক বিপজ্জনক ধাপে নিয়ে গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায়, ইরানের দক্ষিণ পার্স গ্যাস কনডেনসেট ফিল্ডের একটি স্থলভাগের অংশে হামলা চালায় ছোট একটি ইসরায়েলি ড্রোন। এতে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। যদিও দক্ষিণ পার্স মূলত একটি সাগরঘেঁষা গ্যাসক্ষেত্র, তবে এর কিছু ইউনিট স্থলেও রয়েছে। এই হামলায় মূলত ফেজ ১৪ অংশটি লক্ষ্য করা হয়েছিল।

হামলার পর কিছু সময়ের জন্য গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ড খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং তা আশপাশে ছড়ায়নি।

এর কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি ড্রোন আঘাত হানে ইরানের বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত ফজর-ই জাম প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে। একাধিক স্থাপনায় এমন হামলা স্পষ্ট করছে, এবার টার্গেট শুধু সামরিক ঘাঁটি নয়, বরং দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তাও।

ইসরায়েল এই হামলার সূচনা করে শুক্রবার গভীর রাতে, যেখানে প্রথম ধাক্কা দেওয়া হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয়। পাশাপাশি, ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপরও হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ইরানও চুপ ছিল না। দেশটি সরাসরি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও জেরুজালেমে পাল্টা হামলা চালায়। তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং প্রয়োজনে অভিযান চলতেই থাকবে।

তবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনায় সরাসরি আঘাত নতুন এক আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। এতে শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, জ্বালানি নিরাপত্তা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতাও বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক সমাধান যদি দ্রুত না আসে, তাহলে এই সংঘাত আরও জটিল হতে পারে এবং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারেও।

এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বই এখন চোখ রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের দিকেই কারণ একপাশে যুদ্ধ, আর অন্যপাশে গ্যাস ও জ্বালানি নিরাপত্তা। কোনটি আগে ভেঙে পড়ে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

 

সূত্র:https://tinyurl.com/3wcdnbvx

আফরোজা

×